ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ৯ পৌষ ১৪৩১
good-food
১৩২

বিবাহিত জীবনে সুখী হতে চাইলে ভুলেও যেসব কাজ করবেন না

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৩৯ ১৪ নভেম্বর ২০২৪  

বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর সম্পর্ক। সে সম্পর্ককে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ এ সম্পর্ক অবহেলা করলে সম্পর্ক ঠিক থাকে না। একে মজবুত করা উচিত। আর বৈবাহিক জীবন সবাই মজবুত করতে পারে না। কিংবা সবার ভাগ্যে যে তা হয় তাও কিন্তু না। অনেক সময় ছোটখাটো ভুল থেকেই তিক্ততার জন্ম নেয়। সেই থেকে সম্পর্ক বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়। 

 

সেজন্য বিয়ে হওয়ার পরেই যে জিনিসগুলো ভুলেও করা উচিত নয়। এতে কিন্তু সম্পর্কের অবনতি হবে। এমনকি বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে। জেনে নিন কোন কোন ভুল একদমই করা ঠিক না। 

 

অতিরিক্ত পজিটিভ হওয়া ভালো নয়। কারণ বিয়ের পরেই সঙ্গীর ব্যাপারে অতিরিক্ত পজিটিভ হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। তার কোনো মতামতে গুরুত্ব দিন। কোনো কাজে বাধা দেবেন না। তা না হলে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। বিশ্বাস রাখবেন এবং ব্যক্তিকে স্বাধীনভাবে চলতে দেবেন। এতে দেখবেন আপনাদের দাম্পত্য জীবনে সুখ থাকবে। আপনি সারাজীবন সুখে থাকতে পারবেন।

 

বিয়ের পর আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে অন্য কারোর তুলনা করবেন না। এমনকি আপনার নিজের মা ও বোনের সঙ্গেও তুলনা করবেন না। এতে অপর ব্যক্তি মনে খুব আঘাত পান । সেই সঙ্গে হীনমন্যতায় ভোগেন। এতে আপনাদের সম্পর্ক ক্রমশও খারাপ হয়ে উঠবে। তাই জীবনসঙ্গীকে যেমনভাবে পেয়েছেন, তেমনভাবে নিয়েই সারাজীবন থাকুন। কোনো কিছু চাপিয়ে দেবেন না। 

 

যদি আপনার কোনো মত থাকে, তা আপনার সঙ্গীকে বলবেন। জোর করে চাপিয়ে দেবেন না। তার মতামতকেও গুরুত্ব দিন। যদি তিনি আপনার কথা না শোনেন, তাহলে তাকে ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করুন। দুজনের চিন্তাভাবনায় মিল আনার চেষ্টা করুন। এতে দেখবেন আপনার সম্পর্ক খুব ভালো হবে। 

 

আপনার কিংবা স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে কোনো তুলনা করবেন না। কারণ বিয়ের পর অনেক সময় সঙ্গীরা একে অপরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তুলনা করেন। এটি ঠিক নয়। এতে অশান্তি হলে পরিবারের সদস্যদের কথা টেনে এনে খারাপ কথা বলেন। এটি কিন্তু খুব খারাপ। এতে দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এগুলো এড়িয়ে চলুন। 

 

এ ছাড়া অন্য লোকের কথায় পরিচালিত হবেন না। এতে আপনাদের দাম্পত্য জীবনের বাইরে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের কোনো লোক যেন ঢুকে না পড়ে। এগুলো আপনাদের সম্পর্কে অশান্তি টেনে আনতে পারে। সেই সমস্যা থেকে আপনি সহজে বের হতে পারবেন না। এমনকি বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে। তাই আগেই সাবধান হোন।