পিলখানা ট্র্যাজেডির ১০ বছর
বিস্ফোরক মামলা এখনো নিম্ন আদালতে
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৩:৪৩ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ১০ বছর আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। নারকীয় ওই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় হয়েছে। কিন্তু বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলা এখনো নিম্ন আদালতের গণ্ডিই পেরোতে পারেনি। রয়েছে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়েই।
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ৭৪ জন।
চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ওই ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা হয়। একটি হত্যা, অন্যটি বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে।
হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন ৮৫০ জন। অন্যটিতে আসামির সংখ্যা ৮৩৪। দুই মামলায় মোট সাক্ষী ১ হাজার ৩৪৪ জন। হত্যা মামলায় ৬৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। আর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার বিচারকাজ চলছে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে।
পিলখানা হত্যা মামলা হিসেবে পরিচিত এই মামলায় বিচারিক আদালতে ৮৫০ আসামির মধ্যে ৮৪৬ জন বিচারের মুখোমুখি হন। বিচারিক আদালতের রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়, আর খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি দণ্ডিত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ খালাস পাওয়া ৬৯ জনের ক্ষেত্রে আলাদা আপিল করে। এ হিসাবে উচ্চ আদালতে বিচারের মুখোমুখি হন ৬৩৭ জন। যাঁদের মধ্যে ২৮ জন আপিল করেননি ও ৬ জন বিচারিক আদালতের রায়ের পর মারা যান। এ হিসাবে সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০৩।
এসবের ওপর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে শুনানি গ্রহণ শুরু হয়। ৩৭০ কার্যদিবস শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন।
হাইকোর্টের রায়ে বিডিআরের সাবেক ডিএডি তৌহিদুল আলম ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। ১৮৫ আসামিকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, যাঁদের মধ্যে ৩১ জন বিচারিক আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছিলেন। হাইকোর্টের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ৪৫ জন সাজা থেকে খালাস পান। এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল ও দণ্ডাদেশ দেয়া হয় অপর ২০০ আসামিকে।
এই মামলায় হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষে থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার বলেন, যতটুকু জেনেছি, তিন সদস্যের বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারপতি তাঁর নিজের লেখা ১১ হাজার ৪১২ পৃষ্ঠার রায় নিয়ম অনুসারে ইতিমধ্যে বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতির কাছে পাঠিয়েছেন। তবে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশিত হয়নি। হাইকোর্টের রায়ের পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া তোরাব আলী মারা যান। এ হিসাবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ১৪ আসামি ছাড়া অপর ৫৮৮ আসামি কারাগারে আছেন’
হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা সাবেক ডিএডি সৈয়দ তৌহিদুল আলমসহ দণ্ডপ্রাপ্ত সাড়ে তিনশ’র বেশি আসামির আইনজীবী ছিলেন আমিনুল ইসলাম। শনিবার প্রথম আলোকে তিনি বলেন, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রত্যয়িত অনুলিপি হাতে পেলে সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তিরা আপিল করবেন। তবে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি না পাওয়ার কারণে তাঁরা আপিল করতে পারছেন না।
হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় দুটি ধাপ শেষ হলেও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলায় ১ হাজার ৩৪৪ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭৮ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্র বলেছে, বিডিআরে বিদ্রোহের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি লোকের সাজা হয় অধিনায়কদের সামারি ট্রায়ালে। এতে ১১ হাজার ২৬৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের মধ্যে ১০ হাজার ৯৭৩ জনের বিভিন্ন ধরনের সাজা হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৮ হাজার ৭৫৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অন্যরা প্রশাসনিক দণ্ড শেষে আবার চাকরিতে যোগ দেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশেষ আদালত গঠন করে ৬ হাজার ৪৬ জন জওয়ানকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এসব মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। তাঁদের প্রত্যেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর বেকসুর খালাস পাওয়া ১১৫ জন চাকরি ফিরে পেয়েছেন। বিচার চলার সময় ৫ জনের মৃত্যু হয়।
- আইনজীবী হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
- চিন্ময় দাসকে নিয়ে ভারতের বিবৃতির প্রতিবাদ জানাল বাংলাদেশ
- ক্যানসার প্রতিরোধসহ ৫ গুণ কাঁচা হলুদের
- এই সরকার ফেল মানে আমাদেরও ফেল: ইলিয়াস কাঞ্চন
- ভারতের দাবি মেনে নিতে পাকিস্তানকে আর্থিক প্রলোভন আইসিসির
- আইনজীবী হত্যার নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা
- নতুন মামলায় আমু-ইনু-মামুনসহ ৫ জন গ্রেফতার
- শীতে রোজ খান আমলকী, রয়েছে অবাক করা উপকারিতা
- শাকিবের বরবাদে আইটেম গার্ল নুসরাত
- নিলামে নাম ডাকা হয়নি সাকিবের
- হেঁচকি কেন উঠে আর থামাবেন কীভাবে?
- নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে ইলিয়াস কাঞ্চনের ৩ প্রস্তাব
- সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার, আইপিএলের সবচেয়ে দামি এখন পান্ত
- পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
- দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাবাকে খুঁজে পেলেন মার্কিন নারী
- নির্বাচনের তারিখ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত
- বাংলাদেশসহ যে ১২৪ দেশে পা রাখলেই গ্রেপ্তার নেতানিয়াহু
- পরীমণির প্রথম স্বামীর মৃত্যু, কে এই ইসমাইল?
- ছেলের কাজের ঘোষণায় বাবা
- স্বাস্থ্য-বিষয়ক যেসব প্রচলিত তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই
- কুমিল্লায় ‘যুদ্ধসমাধিতে’ মিলল ২৩ জাপানি সেনার দেহাবশেষ
- রাহুলের বিতর্কিত আউট নিয়ে প্রশ্ন আর সমালোচনার ঝড়
- প্রথম মিলেনিয়াল সাধু হতে যাচ্ছেন প্রয়াত ‘গড’স ইনফ্লুয়েন্সার’
- বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
- মোহিনীর জন্যই কি সায়রাকে ছাড়লেন এ আর রহমান? মুখ খুললেন আইনজীবী
- কবে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাবে, জানালেন সাকিব
- ঘর আর অফিস ম্যানেজ করবেন যেভাবে
- দায়িত্ব নিলেন আইজিপি বাহারুল আলম ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী
- শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- বাংলাদেশসহ যে ১২৪ দেশে পা রাখলেই গ্রেপ্তার নেতানিয়াহু
- রাজনৈতিক চাওয়া ও কূটনৈতিক চেষ্টা আ.লীগের জন্য কী অর্থ বহন করছে
- ঘর আর অফিস ম্যানেজ করবেন যেভাবে
- হেঁচকি কেন উঠে আর থামাবেন কীভাবে?
- বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
- বিশ্বকাপ বাছাই: পয়েন্ট টেবিলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ কোন দল কোথায়
- এ আর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বললেন স্ত্রী ও সন্তান
- মোহিনীর জন্যই কি সায়রাকে ছাড়লেন এ আর রহমান? মুখ খুললেন আইনজীবী
- সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা
- কবে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাবে, জানালেন সাকিব
- রাহুলের বিতর্কিত আউট নিয়ে প্রশ্ন আর সমালোচনার ঝড়
- ডায়াবেটিস কেন হয়, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
- পরীমণির প্রথম স্বামীর মৃত্যু, কে এই ইসমাইল?
- প্রথমবার সচিবালয়ে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা
- দায়িত্ব নিলেন আইজিপি বাহারুল আলম ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী
- শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- ছেলের কাজের ঘোষণায় বাবা
- দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাবাকে খুঁজে পেলেন মার্কিন নারী
- কুমিল্লায় ‘যুদ্ধসমাধিতে’ মিলল ২৩ জাপানি সেনার দেহাবশেষ
- স্বাস্থ্য-বিষয়ক যেসব প্রচলিত তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই