ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১০৮১

ব্যক্তিস্বার্থে পত্রিকা বের করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা রাজনীতিকদের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:২১ ২৮ নভেম্বর ২০১৯  

দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, এমন অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশে করা হয়। এ দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বললেন, বাংলাদেশে পত্রিকার সংখ্যা, টেলিভিশনের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিদিন রাতে টকশোতে যে ভাষায় সমালোচনা করা হয়, তা কোনও দেশেই হয় না। যারা স্বাধীনতা নেই বলেন, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশে বলেন। আমাদেরকে যখন বিদেশের দুই-একটি জায়গা থেকে এসব বিষয়ে বলা হয়েছে, আমরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি, যে না, আপনাদের চেয়েও আমাদের দেশের মিডিয়া অনেক বেশি স্বাধীন। যেভাবে সরকারের সমালোচনা করা হয় সে জায়গায় কোনও দেশের কেউ বলতে পারবে না, বাংলাদেশের মিডিয়ায় সরকারের হস্তক্ষেপ আছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা-র নতুন কমিটির অভিষেক ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে রাজনীতিবিদদের বিভিন্ন পত্রিকা বের করার প্রবণতাকে রাজনীতির জন্য খারাপ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে দেখি, যে সবারই একটা করে পত্রিকা আছে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদের প্রায় সবারই একটা করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পত্রিকা আছে। অন্ততপক্ষে একটি অনলাইন পত্রিকা রয়েছে। আমার মনে হয়, এটি একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা। রাজনীতির জন্য যেমন খারাপ, এটা সাংবাদিকতার জন্যও খারাপ। রাজনীতিবাদরা এটা বুঝতে পারছেন না, তবে সাংবাদিকদের এটা বুঝতে হবে। তাদের উচিৎ এমন প্রতিযোগিতা থেকে বিরত থাকা।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা দেখছি বেশ কিছু মিডিয়া হাউজ সাংবাদিকদের বেতন সময়মতো দিতে পারছেন না। একটি রাষ্ট্র যখন নিম্নআয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয় এবং উন্নত দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যায়, তখন সেদেশে শুধুমাত্র রফতানিমুখী পণ্যের বাজারের কর্মপরিবেশ আইএলও'র মানদণ্ডে হবে, তা কিন্তু নয়। সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী ভাইবোনদের জন্য একই মানদণ্ড থাকতে হবে। বাংলাদেশে সব শ্রমজীবী মানুষকে এসব মানদণ্ডের ভেতরে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা দেখছি মালিকরা যার যার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে মিডিয়াকে ব্যবহার করছেন।
পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে উত্তরবঙ্গ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের একটি আলাদা চরিত্র আছে। পরিবেশ বিপর্যয়ে উত্তরবঙ্গ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করুন। শুধুমাত্র কারখানার বর্জ্য, নদীদূষণ এগুলো নিয়ে নয়, বায়ুদূষণসহ সামগ্রিকভাবে পুরো পরিবেশ নিয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে।  
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা-র  সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল। বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা-র সহ সভাপতি আনোয়ার হক, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান চৌধুরীসহ সাংবাদিক নেতারা।
আলোচনা শেষে অভিষেক পর্বে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা-র নবনির্বাচিত কমিটির কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।  
 

মিডিয়া বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর