ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২১০

ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালায় যা আছে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:২০ ৬ এপ্রিল ২০২৪  

অবশেষে একীভূতকরণ নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে একীভূতকরণের ফলে ব্যাংকগুলোর অবস্থা কেমন হবে তা পরিষ্কার করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে যা প্রথম। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

 

এতে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ধারা ৪৯(১)(গ), ৭৭(১৬) এবং কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ধারা ২২৮ ও ২২৯-এর বিধান অনুযায়ী দুর্বল ব্যাংককে একত্রীকরণের মাধ্যমে সবল ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা। যাতে জনস্বার্থে একীভূত ব্যাংক-কোম্পানি অধিকতর সেবা দিতে পারে।

 

সংকটাপন্ন ব্যাংক ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে হস্তান্তর-গ্রহীতা ব্যাংকের মূলধন, তারল্য, খেলাপি ঋণ ইত্যাদি সূচক প্রভাবিত হতে পারে। এক্ষেত্রে অধিগ্রহণকারী ব্যাংককে নীতি সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেগুলো হলো-

 

১. ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণ, সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও), এসএলআর (স্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও), এলসিআর (লিকুইডিটি কাভারেজ রেশিও), এনএসএফআর (নেট স্ট্যাবল ফান্ডিং রেশিও) সংরক্ষণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুনির্দিষ্ট অংশ ছাড় দেয়া হবে।

 

২. দুর্বলের পুঞ্জীভূত ক্ষতি সামঞ্জস্য করতে হস্তান্তরকারী ব্যাংকের ক্ষতিকে ‘গুডউইলে’ রূপান্তর করা হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদে হস্তান্তর-গ্রহীতাকে ব্যাংকের আয় থেকে সমন্বয় বা পরিশোধের সুযোগ দেয়া হবে।
 
৩. বিদ্যমান সুবিধার আওতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তারল্য সুবিধা দেয়া হবে।
 

৪. ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি বন্ড কেনার মাধ্যমে নগদ সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
৫. মূলধন বৃদ্ধির জন্য শেয়ার, পারপেচুয়াল বন্ড এবং সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুতে সহায়তা দেয়া হবে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।