ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৮৩

ব্যাংক একীভূতকরণ: স্বেচ্ছায় ডিসেম্বরের মধ্যে, না হলে মার্চে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৩৭ ১৩ মার্চ ২০২৪  

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে একীভূত হতে পারবে দুর্বল ব্যাংকগুলো। আর এই সময়ের মধ্যে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নিয়ন্ত্রক সংস্থার মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, আমানতকারীদের স্বার্থকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে এই প্রক্রিয়ায়।

 

আর্থিক খাতে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ। এরই মধ্যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, কবে নাগাদ শুরু হবে এই প্রক্রিয়া- তা এখনো নির্দিষ্ট করতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর চেয়েও বড় প্রশ্ন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কিভাবে রক্ষা হবে গ্রাহক স্বার্থ?

 

এ নিয়ে হঠাৎই সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থার মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে একীভূত হতে পারবে যেকোনো দুর্বল প্রতিষ্ঠান। তবে এই সময়ে মধ্যে যারা ব্যর্থ হবে, তাদের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেটা মার্চে হতে পারে।

 

তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক একীভূত হবে; সেসব ব্যাংকের অবস্থা ভালো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এরপরই মার্জার হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এককথায় ব্যাংক একীভূত হবে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। যাতে সবল ব্যাংক দুর্বল না হয়। আবার দুর্বল ব্যাংক সবল হয়। এই দুটি বিষয় গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, একীভূতকরণ যে প্রক্রিয়াই হোক না কেনো, সর্বোচ্চ সুরক্ষা পাবেন আমানতকারীরা। তবে এসময় দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের পদ ও বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।

 

মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক একীভূত হওয়া নিয়ে নানা ধরনের অনুমানভিত্তিক কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় মার্জার হোক না কেন, এতে আমানতকারীদের স্বার্থের কোনো হানি হবে না। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থও দেখা হবে।

 

সম্প্রতি ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্য বিষয়ক সূচক নিয়ে প্রতিবেদন উঠে আসে গণমাধ্যমে। যদিও তা নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দেননি দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার মুখপাত্র।