ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭২৪

ভাঙার জন্য খালি করা হচ্ছে বিজিএমইএ ভবন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:১৪ ১৬ এপ্রিল ২০১৯  

রাজধানীর হাতিরঝিলের একাংশে গড়ে ওঠা বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান জানিয়েছেন, ভাঙার আগে ভবনের মধ্যে থাকা জিনিসপত্র অপসারণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার সকালে।

পুরো ভবনটি কিভাবে ভাঙা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে ভবনটি খালি করা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত হবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কিভাবে সেটি ভাঙা হবে।

খন্দকার অলিউর রহমান বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ভবন খালি হওয়ার পর আলোচনা করে পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।

তিনি বলেন, এদিন সকালে হাতিরঝিলের কারওয়ান বাজার অংশে বিজিএমইএ ভবনে গিয়েছিলাম আমরা। এখনো যাদের অফিস রয়েছে তাদের সব কিছু নিয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গ্যাস বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ বুলডোজার সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ ভবনের কাছে নেয়া হয়েছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করায় বিজিএমইএ ভাঙার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

বিজিএমইএ ভবনকে হাতিরঝিল প্রকল্পে 'ক্যান্সারের মতো' বলে হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ে নিজ খরচে ভবনটি ভাঙতে প্রতিষ্ঠানটিকে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল বিভাগের কাছে আবেদন করে বিজিএমইএ।

কিন্তু ২০১৭ সালে এ ১৬তলা ভবন ভেঙে ফেলার আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনার জন্য বিজিএমইএর করা আবেদন খারিজ করে দেন তখনকার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। এরপরে নানা আইনি প্রক্রিয়ার পর ওই ভবন থেকে সরে যেতে কয়েক দফা সময় পায় পোশাক রফতানি ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ।

শেষ পর্যন্ত আর সময় চাইবে না মর্মে মুচলেকা দিলে আদালত গেল বছর ভবন থেকে সরে যেতে এক বছর অর্থাৎ ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয় বিজিএমইএকে। কর্মকর্তারা বলছেন, ভবনটি দুটি বেজমেন্টসহ মোট ১৬তলা। তবে নিজেদের জন্য কয়েকটি ফ্লোর রেখে বাকিগুলো ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়।

বিজিএমইএ ভবন এখন উত্তরায়

পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্মাণাধীন ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগঠনটি জানিয়েছে, উত্তরায় ১৩তলা ভবন নির্মাণ চলছে এবং প্রায় ছয়তলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হয়েছে। পুরো ভবনের কাজ শেষ হতে আরও দু বছর সময় লাগবে।