ঢাকা, ২৯ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৯৯

ভারত-বাংলাদেশ থেকে ছড়িয়েছে করোনা, দাবি চীনা বিজ্ঞানীদের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪১ ২৯ নভেম্বর ২০২০  

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি স্থল চীন নয়, বরং ভারত বা বাংলাদেশ থেকে এটি ছড়িয়ে থাকতে পারে। চীনের সায়েন্স একাডেমি প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে এ দাবি করা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রভাবশালী স্বাস্থ্য সাময়িকী ল্যানসেটে সেটি প্রকাশ হয়েছে।

 

গবেষকরা দাবি করেন, গেল বছর ভারতীয় উপমহাদেশে তীব্র তাপদাহের সময় মানুষ এবং বন্য প্রাণিরা একই উৎস থেকে পানি পানের ফলে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। 

 

তারা বলেন, গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নভেল করোনাভাইরাস দেখা যায়। এরও আগে তা ভারত-বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হয়। একপর্যায়ে সারাবিশ্বে সেটির বিস্তার ঘটে। পরে মহামারি রূপ ধারণ করে।

 

গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের মে-জুনে রেকর্ড দ্বিতীয় দীর্ঘতম দাবদাহ তাণ্ডব চালায় উত্তর-মধ্য ভারত ও পাকিস্তানে। ফলে ওই অঞ্চলে ভয়াবহ পানির সংকট সৃষ্টি হয়। সেই অবস্থায় বন্য প্রাণিদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়। তাদের সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শের সম্ভাবনা বাড়ে। তারা একই উৎস থেকে পানি পানের ফলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে থাকতে পারে।

 

করোনার উৎস খুঁজতে ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, সবচেয়ে কম রূপান্তরিত রূপটাই মানবঘাতী ভাইরাসের আসল চেহারা।

 

তারা মনে করেন, কোভিড-১৯ এর প্রথম সংক্রমণ উহানে হয়নি। এর পরিবর্তে ভারত, বাংলাদেশের মতো স্থানগুলোয় হতে পারে। এগুলোতে কম রূপান্তরিত ভাইরাসের নমুনা পাওয়া যায়।

 

ভারত-বাংলাদেশ ছাড়া করোনার সম্ভাব্য উৎস হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, ইতালি, গ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র এবং চেক রিপাবলিকের নামও উত্থাপন করেন চীনের গবেষকরা।

 

তবে তাদের এ দাবির বিপরীতে মত পোষণ করেছেন বহু বিশেষজ্ঞ। গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড রবার্টসন বলেন, চীনের গবেষকদের এ গবেষণা খুবই ত্রুটিপূর্ণ। ন্যূনতম রূপান্তরিত ভাইরাস সিকোয়েন্স শনাক্তকরণে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পক্ষপাতদুষ্ট।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর