ভালো রেজাল্ট করা শিশুরা কী আশপাশের জগতটা চেনে-জানে?
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২১:০৪ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দীর্ঘদিনের টিউশনির অভিজ্ঞায় দেখেছি, স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সামাজিকীকরণে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। নতুন পরিবেশে তারা সহজে খাপ খাওয়াতে পারে না। অপরিচিত মানুষকে কীভাবে সম্বোধন করতে হয়, জানে না। নবম শ্রেণিপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে পড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম বছরখানেক আগে। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, চালের কেজি কত করে এখন? রাজধানীর স্বনামধন্য এক স্কুলে পড়ুয়া সেই শিক্ষার্থী উত্তর দিতে পারেনি। এরপর কৌতুহলবসত একদিন মোহাম্মদপুরে একটি স্কুলের সামনে দাঁড়াই এবং জনা বিশেক ছেলেমেয়েকে জিজ্ঞেস করি, চালের দাত কত?
কেউ বলেছে ১৮ টাকা, কেউ বলেছে ২৫ টাকা, কেউ বলেছে ৪০ টাকা। ঈদের ছুটিতে গিয়েছিলাম গ্রামে। সেখানেও নবম-দশম শ্রেণি পড়ুয়া কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, চালের কেজি কত করে? কেউই সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। অর্থাৎ এ শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের বাইরের জগৎ সম্পর্কে কিছুই জানে না!
অথচ এ জানানোটা জরুরি কি না? জিজ্ঞেস করেছিলাম রিপন রহমান নামের এক হাইস্কুল শিক্ষককে। তিনি আমার ফেসবুক বন্ধু। শিক্ষকতা করেন নাটোরের এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তিনি বলেন, একাডেমিক ফল ভালো করানোর একটি চাপ থাকে আমাদের ওপর। সেই চাপ মোকাবেলা করতে গিয়ে আমাদের আসলে পাঠ্যবইয়ের ওপরই বেশি জোর দিতে হয়। ফলে ছেলেমেয়েরা ভালো রেজাল্ট নিয়েই বের হচ্ছে। কিন্তু সামাজিকভাবে দক্ষ হিসেবে বের হচ্ছে না।
এর দায় অনেকটা অভিভাবকদেরও নিতে হবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ, দিনশেষে অভিভাবকরা ছেলেমেয়ের কাছ থেকে ভালো রেজাল্টই আশা করেন। এ অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কথা বলেছিলাম আমার সেই নবম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাবার সঙ্গে। তিনি মৃদু হেসে বলেন, অবশ্যই রেজাল্টটাই আমরা চাই। তা না হলে স্কুলের বাইরে আপনাকে কেন হাউজ টিউটর হিসেবে রেখেছি? রেখেছি এজন্য যে, ছেলেটির গোল্ডেন ফাইভ যেন মিস না হয়।
এরপর অবশ্য ভদ্রলোক ব্যখ্যা করে বলেছিলেন, কেন জিপিএ ফাইভ চান। তার মতে, এ চাওয়াটা তৈরি হয়েছে সামজিক কারণে। জিপিএ ফাইভের একটা সামাজিক ভ্যালু রয়েছে। এটা না পেলে সমাজে মুখ দেখানো যায় না। তাছড়া চাকরি-বাকরি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে প্রবেশের প্রথম যোগ্যতাই হচ্ছে একাডেমিক রেজাল্ট।
বুঝতে আর অসুবিধা হয় না, এসব কারণেই শুধু পাঠ্যপুস্তকের বিদ্যা নয়; বরং জীবনযাপনের উপযোগী বিদ্যা দান করাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ- এ সত্য ভুলতে বসেছে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শহরের স্বনামধন্য স্কুলগুলো শুধু গোল্ডেন ফাইভ অর্জনের বিদ্যা শেখায়, আর কিছু নয়।
অথচ একজন মানুষকে সমাজে বেঁচে থাকতে হলে নানা মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, নানা পরিবেশে, হাটে-বাজারে, চাকরি করতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, বন্ধুর আড্ডায়, বসের পার্টিতে যেতে হয়, কখনো কখনো লোকাল বাসে উঠতে হয়। এসব কাজে ও পরিবেশে যথাযথ আচরণ করতে হয়, যার নাম সামাজিকতা। এ সামাজিকতা শেখার যে প্রক্রিয়া, তার নাম সামাজিকীকরণ।
সামাজিকীকরণ শুধু বইয়ের পাতা থেকে শেখা যায় না। এটা শেখার সবচেয়ে বড় দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্কুল ও পরিবার। শিশুরা সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় এ দুটি জায়গাতেই। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এ দুটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানই সামাজিকীকরণ শেখাতে ক্রমশ ব্যর্থ হচ্ছে। স্কুলগুলো ব্যস্ত শিশুদের একাডেমিক ফল ভালো করানো নিয়ে। পরিবারগুলোও ব্যস্ত ওই একই উদ্দেশ্য নিয়ে। কিন্তু কেউই শিশুটিকে সামাজিক জীব হিসেবে গড়ে তোলায় সময় ও শ্রম ব্যয় করছে না।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলেন, শিশুকে নানাভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজের উপযুক্ত সদস্য হিসেবে গড়ে তুলতে হয়। এ প্রক্রিয়ার নাম সামাজিকীকরণ। প্রক্রিয়াটি জীবনব্যাপী চলে। অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত।
সমাজবিজ্ঞানী কিংসলে ডেভিস বলেছেন, সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবশিশু পুরোপুরি সামাজিক মানুষে পরিণত হয়। এ প্রক্রিয়া ছাড়া শিশু ব্যক্তিত্ব লাভে ব্যর্থ হয়। সমাজে সে একজন যোগ্য ও উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না।
অগবর্ন ও নিমকফ কী বলেছেন? তাদের মতে, সামাজিকীকরণ ছাড়া সমাজে জীবনযাপন একেবারেই সম্ভব নয়। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার দ্বারা ব্যক্তি গোষ্ঠীর সঙ্গে মেলামেশায় সামাজিক মূল্যবোধ বজায় রাখে। অর্থাৎ মূল্যবোধ শেখারও একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সামাজিকীকরণ।
প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছন সমাজবিজ্ঞানী আরটি শেফার। তিনি বলেন, সামাজিকীকরণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি নির্দিষ্ট সমাজের সদস্য হিসেবে ব্যক্তি নিজস্ব সমাজের মনোভাব, মূল্যবোধ এবং কার্যাবলি রপ্ত করে।
এসব মন্তব্য থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অথচ দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপারটি হচ্ছে, এ গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারছে না আমাদের বিদ্যালয়গুলো এবং পরিবারগুলো।
- আমের পাতাও ফেলনা নয়, রয়েছে হাজারো গুণ
- বাংলাদেশে ঈদ সোমবার, ৩ দেশে তারিখ ঘোষণা: খালিজ টাইমস
- ঈদে মুক্তি পাচ্ছে যে ৬ সিনেমা
- ভূমিকম্প হওয়ার আগে সতর্ক করবে গুগল
- নিজের প্রতিষ্ঠান নিজেই কিনলেন ইলন মাস্ক!
- রাকসু গঠনতন্ত্র বিষয়ক কিছু পরামর্শ
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবেন যে ৫ ফল
- বাসায় ফিরেই ফেসবুকে পোস্ট তামিমের, যা জানালেন
- ঈদের আগে চাকরি হারালেন রাসিকের ১২০ কর্মচারী
- শক্তিশালী ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড মিয়ানমার-থাইল্যান্ড, ১৫০ জনের মৃত্যু
- রোববার বসছে চাঁদ দেখা কমিটি, জানা যাবে কবে ঈদ
- ডিআরইউতে হামলায় আহত ৩, গ্রেফতার ২
- ঈদের ছুটি: বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করার যত উপায়
- আবারও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আছে তামিমের: চিকিৎসক
- ময়মনসিংহে একটি গ্রাম বিক্রি করে দিলেন এক ব্যক্তি
- ঘুষি মেরে বেশ করেছি, ও যা নোংরামি করেছে এটাই প্রাপ্য: শ্রাবন্তী
- মেয়র হিসেবে শপথ নেয়া নিয়ে যা বললেন ইশরাক
- ‘ছাত্র-জনতার দাবিতে’ কাপড় দিয়ে ঢাকা হলো মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল
- `গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনার` অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
- ও আলোর পথযাত্রী, এখানে থেমো না
- লাইলাতুল কদরে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়
- অনিশ্চয়তার অবসান: ঈদেই মুক্তি পাচ্ছে শাকিবের দুই সিনেমা
- আর্জেন্টিনার কাছে ৪ গোল হজম, ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক
- আড়াই প্যাঁচের জিলাপিতে এত গুণ
- হার্ট অ্যাটাক: জীবন বাঁচাতে শিখে নিন সিপিআর পদ্ধতি
- তরমুজের সাদা অংশ খেলে পাবেন ৬ উপকার
- সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা সন্জীদা খাতুনের বিদায়
- হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ৭ মিথ
- উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান
- শতাধিক গাড়ির বহর:জারার প্রশ্ন,জবাবে দাদার সম্পত্তি দেখালেন সারজিস
- শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয়, অনুশোচনা নেই ফারিয়ার
- সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা সন্জীদা খাতুনের বিদায়
- ছোটখাটো বিষয় নিয়েও অতিরিক্ত চিন্তা?যেসব খাবার খেলে নিমিষেই কমবে
- হার্ট অ্যাটাকের ৬ লক্ষণ, দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে যা করবেন
- নিজ এলাকায় হান্নান মাসউদের ওপর হামলা
- ঈদের ছুটি: বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করার যত উপায়
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবেন যে ৫ ফল
- ‘শুধু সেনাবাহিনী নয়, কেউ যেন আ.লীগের ভার্সনের গল্প না শোনায়’
- উড়োজাহাজ থেকে নেমে শতাধিক গাড়ি নিয়ে সারজিসের শোডাউন
- ও আলোর পথযাত্রী, এখানে থেমো না
- শতাধিক গাড়ির বহর:জারার প্রশ্ন,জবাবে দাদার সম্পত্তি দেখালেন সারজিস
- আবারও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আছে তামিমের: চিকিৎসক
- আড়াই প্যাঁচের জিলাপিতে এত গুণ
- এনসিপির ইফতারে হাতাহাতি: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
- জ্ঞান ফিরেছে, কথা বলেছেন তামিম
- হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ৭ মিথ
- সেনাবাহিনী নিয়ে হাসনাতের বক্তব্যে কী চাপে পড়েছে এনসিপি
- ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ কমালো সাবমেরিন কেবল কোম্পানি
- উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান
- আর্জেন্টিনার কাছে ৪ গোল হজম, ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক