ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৩১

ভালোবেসে বিয়ে করার পরও কেন বিচ্ছেদ হয়?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:৪৮ ১৭ অক্টোবর ২০২১  

বিবাহ বিচ্ছেদ, এ তো আর নতুন কিছু নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রেমের পরিণতি যেই বিয়ে, সেটিও কেন ভাঙে? চলুন জেনে নিই, কোন কোন কারণে একটি সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে। আর শেষ পর্যন্ত এটি বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

 

কমিউনিকেশনের সমস্যা

যে কোনও সম্পর্ক দৃঢ় করতে গেলে ভাল যোগাযোগের প্রয়োজন হয়। সাধারণত যখনই বিবাহ বিচ্ছেদের কথা হয় তখন মানুষ আর্থিক সমস্যা বা কমিটমেন্ট ইস্যু নিয়ে কথা বলে। কিন্তু যদি ঠিকভাবে লক্ষ্য করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে এই সমস্ত সমস্যাগুলি গৌণ এবং কমিউনিকেশনের ব্যবধান বা পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাবের কারণেই ঝামেলার শুরু হয়।

 

যখন কোনও দম্পতি তাদের সমস্যা এবং পরিকল্পনা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে ভালভাবে কমিউনিকেশন করতে অক্ষম হয়, তখেই তাদের মধ্যে ঝামেলা হতে শুরু করে। আর, যখন তারা এই কমিউনিকেশন গ্যাপ পূরণ করতে না পারে, তখনই তাদের সম্পর্ক ভাঙনের পথে এগোয়।

 

ঘনিষ্ঠতার অভাব

দম্পতিদের মধ্যে দূরত্ব বিচ্ছেদের অন্যতম একটি কারণ। কেবল ভালোবাসি বলেই ভালবাসার সঠিক প্রকাশ হয় না। ব্যবহারেও এটি ফুটিয়ে তুলতে হয়। শারীরিক সঙ্গের পাশাপাশি মানসিক ঘনিষ্টতাও এক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

 

নিজেদের মধ্যে মতের অমিল

দুজনের মধ্যে মিল না থাকলেই সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বেশিরভাগ সিদ্ধান্তেই যদি দুজনে এক মত হতে না পারেন তাহলেই সমস্যা। আর এর ফলে যদি আপনি সম্পর্কের মধ্যে থেকেও নিজেকে একেবারে একা মনে করেন, তাহলে বুঝবেন আপনাদের মধ্যে কোনও কিছুই ঠিক নেই। এই বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট কারণ হতে পারে।

 

ইমোশনাল সাপোর্টের অভাব

একটি সম্পর্ক শুধুমাত্র ভাল আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে টিকে থাকতে পারে না। এর জন্য একে অপরকে ইমোশনালি সাপোর্ট করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক সময় দম্পতিরা কমিউনিকেশন গ্যাপের পাশাপাশি ইমোশনালি সাপোর্টের অভাব অনুভব করে। এমন পরিস্থিতিতে কেবল শারীরিক নয়, মানসিক দূরত্বও আসতে শুরু করে এবং একবার একে অপরের প্রতি আকর্ষণ কমে গেলে, একসঙ্গে থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।