ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৩৫

ভুলে গিয়েও তরমুজ ফ্রিজে রাখবেন না

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:২৩ ৩০ এপ্রিল ২০২২  

আস্ত তরমুজ ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখাই ভালো। গরমকালে খেতে ভালো লাগে এরকম খাবারের মধ্যে অবশ্যই তরমুজের নাম আসবে। পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে, তরমুজে ৯২ শতাংশ পানি রয়েছে, যা গ্রীষ্মকালের খরতা থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

 

এছাড়া এটি লাইকোপিন, বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি-সহ বেশ কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ওয়াটারমেলন প্রোমোশন বোর্ড’য়ের উদ্ধৃতি দিয়ে টেস্টিংটেবল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, লতা থেকে তরমুজ কাটার পরে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে এর স্থায়িত্ব বাড়াতে আমরা সাধারণত রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করে থাকি।

 

রেফ্রিজাইরেটরে রাখা তরমুজের পুষ্টিমান কমে

ন্যাশনাল ওয়াটারমেলন প্রমোশন বোর্ড’য়ের মতে, রেফ্রিজারেইটরে তরমুজ দুটি শর্তের ভিত্তিতে রাখা যায়। একটি হল, এটা শুরু থেকেই রেফ্রিজারেইটরে ছিল অথবা এটা কেটে রাখা হয়েছে। গোটা তরমুজ রেফ্রিজাইরেটরে সংরক্ষণ করলে এর স্বাদ, আকার ও রংয়ে পরিবর্তন আসে।

 

তরমুজ সংরক্ষণ করার সঠিক তাপমাত্রা হল- ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় তরমুজ দশ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। রেফ্রিজাইরেটরে তরমুজ রাখা এর স্বাদ এবং রংয়ের চেয়ে বেশি প্রভাব রাখে পুষ্টি গুণে।

 

‘ইউএসডিএ এগ্রিকালচার রিসার্চ সার্ভিস’য়ের করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় তরমুজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি থাকে।

 

গবেষণার সূত্র ধরে ‘মেডিকেল নিউজ টুডে’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয় যে, রেফ্রিজারেইটরে রাখা তরমুজের তুলনায় সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা তরমুজে লাইকোপিন ২০ শতাংশ বেশি থাকে এবং বিটা-ক্যারোটিনের মাত্রা দ্বিগুণ থাকে।

 

শিতলকরণ তরমুজের রং নষ্ট করতে পারে এবং গাঢ় রং উচ্চ মাত্রার লাইকোপিনের নির্দেশ করে। তাই ঘরে তরমুজ আনা হলে তা কেটে খাওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ তাপমাত্রাতে রাখাই ভালো।