ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৫৪

দুর্বল হয়ে পড়েছে ফণী

মধ্যরাত থেকে সকালের মধ্যে ফণীর ছোবল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৩৪ ৪ মে ২০১৯  

শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে যে কোনো সময় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঘূর্ণিঝড়টি আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে, কমেছে গতিবেগও। শুক্রবার ( মে) বিকেলের দিকে এই ঝড়ের গতিবেগ যেখানে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, সেখানে রাত ১০টার পর এর গতি  ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারে নেমে আসে। আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ‘ফণী কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতের উপকূলীয় ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। আগে যা ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফণীর অগ্রসর অংশের প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার ( মে) সকাল এর মধ্যে ঝড়ের মূল অংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

মোংলা পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে আগের মতোই নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ চরগুলো নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ চরগুলো নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর,বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে থেকে ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও বুলেটিনে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর