ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি রোববার, ২০২৫ || ৬ মাঘ ১৪৩১
good-food
৭৬৫

মন্ত্রিসভায় বড় ধরণের চমক থাকতে পারে: কাদের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:০৭ ৪ জানুয়ারি ২০১৯  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

গত ৩০ ডিসেম্বর সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট অভাবনীয় বিজয় অর্জন করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার শপথ নেন নবনির্বাচিত সাংসদ সদস্যরা। শপথ নেয়ার পর আজ শুক্রবার তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের এমপিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আজ শুক্রবার সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামীলীগ সাআধারন সম্পাদক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ সময় সাংবাদিকরা নতুন মন্ত্রিসভা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেমন বড় জয় পেয়েছে, তেমনি নতুন মন্ত্রিসভাতেও কিছু চমক থাকতে পারে।

সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে অভাবনীয় ফল পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ৩০০ আসনের সংসদে আওয়ামী লীগের আসন বেড়ে ২৫৭টিতে দাঁড়িয়েছে। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। নিরঙ্কুশ এই জয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দলটি। 

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ইতোমধ্যে নতুন সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়াও শুরু হয়েছে। 

শেখ হাসিনার বিদায়ী মেয়াদের সরকারে মন্ত্রীর সংখ্যা অর্ধশতের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছিল। নতুন সরকারের সদস্য সংখ্যা কত হবে, সে বিষয়ে কোনো আভাস  পাওয়া যায়নি।

১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসা শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় নতুনদের প্রাধান্য দিয়েছিলেন। পরের মেয়াদে তিনি মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে এনেছিলেন প্রবীণ নেতাদের অনেককে।

এবার কেমন মন্ত্রিসভা হবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নবীন-প্রবীণ মিলিয়েই এবার মন্ত্রিসভা হবে।

এদিকে রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা এবার সব মিলিয়ে মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে। তাই ভোটের ফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো বিএনপির নির্বাচিতরা শপথ নেননি।

সে প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ‘বড় ভুল’ করেছে। শপথ না নিলে বিএনপি ‘আরও বড় ভুল’ করবে। “জনগণ যে রায় দিয়েছে, যেটুকু রায় দিয়েছে, এটাকে তাদের সম্মান করা উচিৎ।”

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হল।” বাংলাদেশের রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফের ‘অরও অনেক কিছু’ দেওয়ার ছিল। “পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে লন্ডনে বঙ্গবন্ধুকন্যাদের পাশে সৈয়দ আশরাফের অনেক ভূমিকা ছিল।”