ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৫৭

মা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন? যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২৮ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২  

মা হওয়ার পরিকল্পনা করার সময় প্রত্যেক নারীরই কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যাতে গর্ভাবস্থায় কোনও সমস্যা না হয়। কিন্তু অনেকেই প্রেগনেন্সির প্ল্যানিং করার সময় কিছু ভুল করে বসেন। ফলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বা গর্ভাবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়।

 

গর্ভাবস্থায় নারীদের অনেক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হয়। তাই মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু পরিকল্পনা প্রেগনেন্সির আগেই করা ভালো। এবার জেনে নিন অন্তসত্ত্বা হওয়ার আগে কোন কোন বিষয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত-

 

মা হওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করলে সর্বপ্রথম একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তাহলে স্বাস্থ্যকর প্রেগনেন্সির প্ল্যান তৈরি করতে সক্ষম হবেন। গর্ভধারণের ৩ মাস আগে, যা প্রি-প্রেগনেন্সি পিরিয়ড নামে পরিচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করলে তা অনেক ক্ষেত্রেই উপকারী হয়।

 

গর্ভবতী হওয়ার আগে মেডিকেল হিস্ট্রি একজন ডাক্তারের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করা উচিত। নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করা দরকার-

 

# ফাইব্রয়েড ও এন্ডোমেট্রিওসিসের সম্ভাবনার জন্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

# পরিবারে ডাউন সিনড্রোম, থ্যালাসেমিয়ার ইতিহাস থাকলে ডাক্তারকে এ সম্পর্কে বলতে হবে।

# মূত্রনালীতে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে পরীক্ষা করাতে হবে। সমস্যা থাকলে গর্ভধারণের আগে সম্পূর্ণ চিকিৎসা করাতে হবে।

 

# ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হাঁপানি, কিডনি, হৃদরোগ, ইত্যাদি সমস্যা থাকলে অবশ্যই গর্ভাবস্থার আগে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

# এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিস ইত্যাদি গর্ভাবস্থার আগে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত, যাতে গর্ভাবস্থা বা প্রসবের সময় এই সংক্রমণ শিশুর মধ্যে না যায়।

 

# যদি ওজন বেশি হয় এবং বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ২৩ বা তারও বেশি থাকে, তাহলে ডাক্তার ওজন হ্রাস করতে পরামর্শ দেবেন। আর যদি ওজন কম হয়, তাহলে বিএমআই বাড়ানোর নিরাপদ পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

 

বিএমআই ১৮.৫ ও ২২.৯ এর মধ্যে হওয়া উচিত। এই বিষয়গুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবে। তাহলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কম অসুবিধার মুখোমুখি হবেন এবং স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা উপভোগ করতে সক্ষম হবেন।