ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৯০

মুজিববর্ষের মূল আয়োজন সীমিত : আসছেন না বিদেশি অতিথিরা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৪১ ৮ মার্চ ২০২০  

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মুজিববর্ষের ১৭ মার্চের আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরাও আপাতত আসছেন না।

 

রোববার (০৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল অবদুল নাসের চৌধুরী।


 তিনি জানান, যতটা সম্ভব জনসমাগম পরিহার করে উদযাপন চলবে দেশব্যাপী। অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে।

 

কামাল নাসের চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষ হলো বছরব্যাপী আয়োজন। বিদেশি অতিথিদের আসার কথা ছিল। যেহেতু বিষয়টি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, তাই বিদেশি অতিথিরাও পরেই আসবেন।

 

এর আগে সন্ধ্যায় গণভবনে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক হয়। জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানার উপস্থিতিতে সেই সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

আগামী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর (মুজিববর্ষ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক হুন সেন,  ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বোকোভাসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি অতিথির।

 

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে, তবে বড় পরিসরে কোনো আয়োজন থাকছে না। আগামী ১৭ মার্চ পুনর্বিন্যাস ও সীমিত আকারের উদ্বোধন হবে।

 

তিনি আরও জানান, প্যারেড গ্রাউন্ডে বড় পরিসরে মুজিববর্ষের যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেটিও পুনর্বিন্যাস করা হবে।

 

এদিকে,  সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট-আইইডিসিআর নিশ্চিত করেছে বংলাদেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

রোববার বিকালে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত আইইডিসিআর’র নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আক্রান্ত তিনজনের দু’জন পুরুষ, একজন নারী।

পুরুষ দু’জন ইতালি থেকে সম্প্রতি আলাদাভাবে দেশে প্রবেশ করেন। আক্রান্ত নারী ইতালি প্রবাসী এক পুরুষের পরিবারের সদস্য। সন্দেহজনক আর দু’জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

ইতালি ফেরত দু’জন ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই দেশে ফিরেছেন। কিন্তু সেখানে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে তারা নিজ উদ্যোগে আইইডিসিআর’র হটলাইনে যোগাযোগ করলে নমুনা সংগ্রহ শেষে পরীক্ষার পর রোগ নিশ্চিত করা হয়।

অধিদফতর কর্মকর্তারা জানান, শনিবার রাতে তিনজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বিষয়টি সেবা বিভাগের মহাপরিচালককে জানানো হয়। তিনি ওই সময় এই বিষয়টি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসায় গভীর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে বৈঠক হয়। মন্ত্রীর নির্দেশে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভগের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা সারা রাত নির্ঘুম কাজ করেন।

রোববার সকালে দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাধমন্ত্রীকে জানানো হয়। তিনি সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সবকিছু ধৈর্যসহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপরই বিষয়টি গণমাধ্যমে জানায় আইইডিসিআর।

ইন্সটিটিউটের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, শনিবার পরীক্ষায় তাদের সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে। আক্রান্ত তিনজনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, প্রবাসী দু’জন দেশে আসার পর তাদের শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। তারা আইইডিসিআর’র হটলাইনে ফোন করলে ইন্সটিটিউটের র‌্যাপিড রেসপন্স টিম তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠায়। সেখানে দু’জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপর তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত চারজনকে পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে আরও একজনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তাদের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আক্রান্ত তিনজন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, রোগীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে রোগীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া যাবে না। তবে এ রোগ প্রতিরোধে দেশের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। তাই দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

নভেল করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে।

তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। নভেল করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনও তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে।

আপাতত একমাত্র উপায় হল, যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন, তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ এড়াতে চাইলে ঘন ঘন হাত ধোয়া ভালো। সেই সঙ্গে নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীও নিরাপদ রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রাজধানীর কুয়েতমৈত্রী এবং সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল সম্পূর্ণরূপে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় প্রস্তুত। এছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও করা হয়েছে বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড।

প্রাথমিকভাবে রোগীদের কুয়েতমৈত্রী হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়ার কথা। সেখানে ২০ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-আইসিইউ প্রস্তুত রয়েছে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য। এর পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতাল। এসব হাসপাতালের চিকিৎসকদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ফ্লোরা জানান, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ২১ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের সব প্রবেশপথে যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা শুরু হয়।

এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭০৫ জন যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এদের মধ্যে সন্দেহজনক ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যাদের মধ্যে তিনজনের শরীরে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া আরও দু’জন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। ইতিমধ্যে ভাইরাসটি শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশ্বজুড়ে ১ লাখ ৫ হাজারের বেশি মানুষ এ ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং ৩ হাজার ৫৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইতালিতে সাতজন বাংলাদেশি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও বাংলাদেশে এই প্রথম কারও মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ল।

করোনা ছড়াল ১০৩টি দেশে : চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়েছে। বিশ্বের অন্তত ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এক রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যে ২১ জনের দেহে করোনা ধরা পড়ায় রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ মালদ্বীপ, মাল্টা, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, পেরু, টোগোয় করোনায় সংক্রমণ রোগী ধরা পড়েছে। খবর বিবিসি, আনন্দবাজার, এনডিটিভি, রয়টার্স ও সিএনএনের।

বিশ্বেজুড়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৬০০ জন। চীনের বাইরে ইতালিতে ২৩৩, ইরানে ১৪৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪৬, যুক্তরাষ্ট্রে, ১৯, ফ্রান্সে ১৬, জাপানে ১৩, স্পেনে ১০, ইরাকে ৪, হংকং, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ২ জন এবং তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, সুইজারল্যান্ড, আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসে একজন করে মারা গেছে।

নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ জনে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ডরু কুমো জানান, করোনা মোকাবেলায় রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের সান ফ্রান্সিসকো উপকূলে আটকেপড়া প্রমোদতরীর ২১ যাত্রীর দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যাত্রী ও নাবিক মিলিয়ে তিন হাজার ৫৩৩ জন প্রমোদতরীতে আটকা আছেন।

এদিকে মিসরের নীল নদে থাকা প্রমোদতরীর ৩৩ আরোহীর করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ওই নৌযানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। মিসরের কর্মকর্তারা বলছেন, আক্রান্তরা সবাই মিসরীয়।

শনিবার ইরানে করোনায় নতুন করে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ মার্চ পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজারে পৌঁছেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিয়ানুস জাহানপৌর জানান, ১৬ হাজারের বেশি মানুষের পরীক্ষা চলছে। তাদের বাইরে আরও ১ হাজার ৬৬৯ জনের অসুস্থতার বিষয়টি ধরা পড়েছে।

কেরালার এক পরিবারের পাঁচ সদস্য আক্রান্ত : ভারতের কেরালায় একটি পরিবারের পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে। ফলে ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৯ জনে।

রোববার কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা জানান, পরিবারটির এক দম্পতি সন্তানকে নিয়ে সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে ফেরেন। তবে দেশে ফেরার পর তারা বিমানবন্দরে নিজেদের স্ক্রিনিং করাননি। এমনকি করোনা পজিটিভ সন্দেহ হওয়ার পরও তারা হাসপাতালে যেতে চাননি। ইতালি থেকে ফিরে তারা কয়েকজন আÍীয়ের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন।

আত্মীয়স্বজনদের দু’জন করোনায় আক্রান্ত হলে তারা হাসপাতালে যান। তারা পুরো বিষয়টা হাসপাতালে জানান। এরপর সেখান থেকে তা প্রশাসনকে জানানো হয়। শৈলজা আরও জানান, ওই দম্পতিকে অনেক বুঝিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং পাঁচজনকেই পৃথক ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

শনিবার হায়দরাবাদের শামসাবাদ বিমানবন্দরে ৪ হাজার ৬৫৬ জন যাত্রীর স্ক্রিনিং করার পর ১৯ জনের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাদের পৃথক করা হয়।

তবে তেলেঙ্গানা সরকারের জনস্বাস্থ্য ডিরেক্টর জি শ্রীনিবাস রাও পরে বলেন, ১৯ জনের মধ্যে পাঁচজন নেগেটিভ হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। বাকি ১৪ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি।

আর্জেন্টিনায় প্রথম মৃত্যু : লাতিন আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার আর্জেন্টিনায় রোগীটির মৃত্যু হয়। ইউরোপ ভ্রমণ করে ২৫ ফেব্র“য়ারি আর্জেন্টিনায় ফেরেন ৬৪ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি।

কয়েকদিন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভোগার পর ৪ মার্চ তিনি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তিটি উত্তর ইতালি ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরার পর তার শরীরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ব্রাজিলে ভাইরাসটির সংক্রমণে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হন।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে প্যারাগুয়ে, কলম্বিয়া, চিলি ও পেরুতেও করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে।

সৌদি আরবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বেড়ে ১১ : সৌদি আরবে নতুন করে আরও চারজনের করোনায় সংক্রমণ রেকর্ড করেছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।

রোববার সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টুইটারে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, আক্রান্তরা ইরান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে এসেছে। মধ্যপ্রাচ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে ইরান থেকে। ইরানে নাগরিকদের ভ্রমণ বাতিল করেছে সৌদি আরব। কোনো সৌদি নাগরিক সেখানে ভ্রমণ করলেও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

বাসা থেকে কাজ করছেন অ্যাপল কর্মীরা : করোনাভাইরাস ছড়ানো বন্ধে সিলিকন ভ্যালির প্রধান কার্যালয়ের কর্মীদের ‘সম্ভব হলে’ বাসা থেকে কাজ করতে বলছে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। স্যান্টা ক্লারা কাউন্টিতে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের ১২ হাজার কর্মীর অ্যাপল পার্ক ক্যাম্পাস। অ্যাপলের মুখপাত্র বলেন, সিয়াটল অঞ্চলের কর্মীদের বাসা থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে। তবে স্যান্টা ক্লারা কাউন্টির বিক্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ৫ মার্চ পর্যন্ত স্যান্টা ক্লারা কাউন্টিতে ২০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। গত মাসে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, চীনে করোনাভাইরাসের কারণে মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে হয়তো আয়ের লক্ষ্য পূরণ করা যাবে না এবং বাজারে আইফোনের ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। করোনাভাইরাসের কারণে আগের সপ্তাহেই কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার, গুগলসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর