ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ পৌষ ১৪৩১
good-food
২০২

যে তিন ভুলে কর্মক্ষেত্রে বিপদ হতে পারে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৬:০২ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

কাজের জায়গা এক হলেও সহকর্মীদের মন মানসিকতায় মিল নাও থাকতে পারে। আবার সময় মতো পদোন্নতি না হওয়া বা বেতন না বাড়ার কারণ হতে পারে ভিন্ন। তবে কর্মক্ষেত্রে বিপদে পড়ার নানান কারণের মধ্যে আছে- সহকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, প্রেম করা অথবা পছন্দের সহকর্মীর সঙ্গে নিজের গোপন বিষয় বলার পর সেটা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কানে চলে যাওয়া।

 

এরকম বিষয়গুলো উল্লেখ করে মানবসম্পদ বিভাগে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে মার্কিন ব্যবস্থাপক লি হেন্ডার্সন বলেন, “চাকরিতে উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা।” অনলাইন সংগঠন ‘এইচআরম্যানিফেস্টো’র এই প্রতিষ্ঠাতা বিজনেস ইনসাইডার ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলেন, “দুর্বল যোগাযোগের বা কথাবার্তার কারণে ভুল বোঝার সম্ভাবনা বাড়ে। কাজ করা ছাড়াও এসব বিষয় কর্মক্ষেত্রে খেয়াল রাখা জরুরি।”

 

ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি না করা

কর্মক্ষেত্রে বিপদে পড়ার অন্যতম কারণ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন না করা। হেন্ডার্সন বলেন, “ম্যানেজার ও কর্মীদের মধ্যে উন্নত সম্পর্ক থাকা উচিত। না হলে কাজের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি বিপদও হতে পারে।” পদোন্নতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় ব্যবস্থাপক। এছাড়া চাকরি ছাড়ানো, বোনাস, বেতন ইত্যাদি বিষয়ও তাদের ওপর নির্ভরশীল।

 

অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “একবার এক ব্যবস্থাপক আমাকে এসে বললো, ওই কর্মচারীকে তার পছন্দ না। কারণ জিজ্ঞেস করতে তিনি বললেন, ‘মনে হয় সে আমাকে পছন্দ করে না।” এই ধরনের সমস্যা তখনই দেখা দেয় যখন ব্যবস্থাপকের সাথে কর্মীর দূরত্ব তৈরি হয়। এজন্য সবসময় উর্ধ্বতনদের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখা উচিত। তারমানে এই নয় তোষামদ করতে হবে।

 

কীভাবে কাজ হচ্ছে, কাজের উন্নয়ন আরও কীভাবে করা যায়, সাপ্তাহিক মিটিং না হলে নিজেই আলোচনার ব্যবস্থা করে কাজের সমস্যা সমাধান উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার মতো পদক্ষেপে নিতে হবে।“এতে ব্যবস্থাপকদের সাথে পেশাদার সম্পর্ক উন্নত হবে। ভুল বোঝাবুঝির মাত্রা কমবে” পরামর্শ দেন হেন্ডার্সন।

 

ভুল বোঝা

যেসব কথা বলা উচিত না, সেগুলো বলার কারণেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে বিপদে পড়তে হয়। যোগাযোগের ভুল থেকেও নানান সমস্যা হয়। হেন্ডার্সন বলেন, “একসময় এমন একজনের সঙ্গে কাজ করতাম যে, গ্রুপ ইমেইলের সাবজেক্টে লিখেছিল ‘এফইউ’ আমি তো এটাকে গলি হিসেবে ধরে নিয়ে খুবই অবাক হলাম। পরে বুঝলাম এর পুরো মানে হচ্ছে ‘ফলোইং ইউ’।”

 

তাই বাসায় বা ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে কথা বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে সেটা সবাই নাও বুঝতে পারে। যে কারণে বাজে পরিস্থিতিতে এড়াতে সম্পূর্ণ বিষয় খোলামেলা করে যোগাযোগ করা উচিত। আর কোনো কিছু না বুঝলে, চুপ করে না থেকে সরাসরি জিজ্ঞেস করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

 

দলবদ্ধ না থাকা

কর্মক্ষেত্রে এককভাবে কিছু করা যায় না। মনে করতে পারেন, নির্দিষ্ট সমমনা কয়েকজনকে নিয়ে একটা দল করে রাখতে তারা হয়ত সময় মতো আপনাকে রক্ষা করবে। বাস্তবে আসলে দেখা যায় যখন স্বার্থ আঘাত করে তখন কেউ আগায় না। এজন্য সাবিকভাবে সবাইকে দলবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেন- হেন্ডার্সন।

 

মিটিংয়ে সেচ্ছায় থাকার চেষ্টা করতে হবে, নিজের পরিকল্পনা সবার সাথে ভাগ করে সম্ভাব্য সমাধানের পথ বের করার মতো পরিস্থিতিগুলো পরিবেশ যেমন উন্নত করে তেমনি কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানও পোক্ত করা যায়। “সহকর্মীদের সঙ্গে উন্নত সম্পর্ক রাখলে মানসিক শান্তিও বিরাজ করে”- মন্তব্য করেন এই মানবসম্পদ প্রশিক্ষক।