ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ৩ মাঘ ১৪৩১
good-food
২৩০

যেভাবে মুরাদের উত্থান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:২৫ ৮ ডিসেম্বর ২০২১  

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। বিকৃত, যৌন হয়রানিমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্যের জেরে তা করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। পরপরই তার সম্পর্কে কৌতুহল বেড়েছে সর্ব মহলের। সেই চাহিদা নিবৃত্ত করতে তার জন্ম, পরিচয়, পড়াশোনা, রাজনীতি, সমালোচনা তুলে ধরা হলো-

 

১৯৭৪ সালের ১০ অক্টোবর জামালপুরের সরিষাবাড়ীর দৌলতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ডা. মুরাদ। তার বাবা মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন বরেণ্য রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী,  প্রখ্যাত আইনজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন তিনি।

 

জামালপুরের কিশলয় আদর্শ বিদ্যা নিকেতনে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু করেন ডা. মুরাদ। ১৯৯০ সালে জেলা স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৯২ সালে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০০১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমবিবিএস পাস করেন তিনি।

 

এরই মধ্যে ২০০০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখার ‘সভাপতি’ হন ডা. মুরাদ। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। আর ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। 

 

২০১৪ সালে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ‘কার্যকরী সদস্য’ হন ডা. মুরাদ। ২০১৭ সালে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

 

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে সাংসদ হন ডা. মুরাদ। ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। এরপর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

 

তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর আজীবন সদস্য। এছাড়া সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিয়মিত টেলিভিশনে টকশো, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম করেন।

 

ব্যক্তিগত জীবনে ডা. মুরাদ এক মেয়ে ও ছেলের বাবা। তার স্ত্রী জাহানারা এহসানও পেশায় চিকিৎসক। তবে মূলত একের পর এক বিতর্কিত ও বেসামাল মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন তিনি। যার খেসারত গুণতে হচ্ছে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে।

ডি/