ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১ আশ্বিন ১৪৩১
good-food
৯৬

যেসব অভ্যাসে চোখের ক্ষতি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৩১ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

প্রতিদিনের জীবনযাপনেই লুকিয়ে থাকে শরীর ভালো রাখার উপায়। স্বাস্থ্যকর খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা যেমন শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখে, তেমনই বেশ কিছু খারাপ অভ্যাস ও ভুল জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। ঘুম ভাঙা থেকে ঘুমোনোর সময় পর্যন্ত সর্বক্ষণ কাজ করে চলেছে চোখ। কিন্তু তার কতটা খেয়াল সবাই রাখেন? বরং দৈনন্দিন যাপনের বেশ কিছু ভুলে চোখের বড় ক্ষতি হতে পারে। সে জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন? 

 

মোবাইল-ল্যাপটপে চোখ

আপনার বদলে যাওয়া জীবনের নিত্যসঙ্গী হচ্ছে মোবাইল। সকালে ঘুম ভাঙলেই প্রথমেই লোকজন এখন মোবাইলের খোঁজ করেন। সবটাই যে কাজের তাগিদে, তা কিন্তু নয়। আসলে মোবাইলে লুকিয়ে বিনোদনের বিশাল জগৎ। এক ক্লিকেই ছবি থেকে রিল, ভিডিও, পছন্দের যে কোনো বিষয খুঁজে নেয়া যায়। মোবাইলের পাশাপাশি বহু মানুষকেই অফিসে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করতে হয়। পড়াশোনাতেও জুড়ে গেছে মোবাইল থেকে ল্যাপটপ। 

 

দিনভর কাজের শেষে ক্লান্ত মানুষ বিনোদন খুঁজতে ফের চোখ রাখেন সেই মোবাইলেই। মোবাইল থেকে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ— সারাদিন নানা কাজে পর্দায় চোখ রাখার ফলে চোখের ভীষণ ক্ষতি হয়। তাই কাজের জন্য যতই এসবের ব্যবহার হোক না কেন, দিনের বিভিন্ন সময় চোখকে আরাম দিতে হবে। রাতেও অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম ভীষণ জরুরি। এতে চোখ বিশ্রাম পায়।

 

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি

দিনের বেলা রোদে বার হলেও অনেকেই রোদচশমা ব্যবহার করেন না। অনেক মনে করেন, এটা শুধু ফ্যাশনের অঙ্গ। তা বিষয়টি মোটেও নয়। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগনি রশ্মি যেমন ত্বকের ক্ষতি করে, তেমনই এতে চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে ছানিপড়ার সম্ভাবনা বেশি। চোখের চারপাশের নরম ত্বকেরও ক্ষতি হয়। তাই ইউভি রশ্মি প্রতিহত করতে পারে রোদচশমা ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন।

 

সমস্যা অগ্রাহ্য করা

আপনার দেখতে সমস্যা হচ্ছে অথচ কেউ হয়তো তা বুঝতে পারছেন না। চোখ জ্বালা করছে, সামান্য বিষয় বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। চোখে ব্যথা, জ্বালাপড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে ওঠা, দেখতে সমস্যা হওয়া— এসব বিষয় এড়িয়ে না গিয়ে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। তা না হলে সামান্য বিষয় থেকেই চোখের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই চোখে সমস্যা নেই বলে পরীক্ষা করান না। চোখে যে দেখতে অসুবিধা এমন অনেক শিশুও আছে, যারা বুঝতে পারে না। সে জন্য ছোট থেকে বড়, কোনো সমস্যা না থাকলেও বছরে অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।

 

ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ

আবার অনেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা, উচ্চ রক্তচাপ চোখের জন্যও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত যারা অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা যাদের রক্তচাপ বাড়তির দিকে, তাদের চোখের ব্যাপারে খেয়াল রাখা দরকার। এ ধরনের রোগীদের ছানিপড়ার সম্ভাবনা, গ্লুকোমা, চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।