ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪০৫

যেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়লেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:১১ ১০ জানুয়ারি ২০২৪  

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর নতুন যে মন্ত্রিসভা ঘোষিত হয়েছে তাতে ১৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী ১৩ জন প্রতিমন্ত্রী ও দুইজন উপমন্ত্রী বাদ পড়েছেন। রোববারের সংসদ নির্বাচনে ভোটের তৃতীয় দিনের মাথায় বুধবার রাতে নতুন মন্ত্রিসভা্র সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

 

তিনি জানান, এবার পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য ২৫ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ১১ জনকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে বলা হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত মন্ত্রিসভায় তিন জন উপমন্ত্রী থাকলেও এবার কাউকে উপমন্ত্রী রাখা হয়নি। বৃহস্পতিবার নতুন এই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেবেন।

 

যেসব পূর্ণ মন্ত্রী বাদ

মন্ত্রিসভার নতুন তালিকা ঘেঁটে দেখা যায় গত পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন না।

 

 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পদত্যাগ করা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমও নতুন সরকারে থাকছেন না।

 

আরও বাদ পড়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর বাহাদুর উশৈ সিং, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেল মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকেও নতুন মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। 

 

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পরও প্রধানমন্ত্রীর পর ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রীর শপথ হয়। এদের মধ্যে দুইজন ছিলেন টেকনোক্র্যাট কোটায়। এবারের জাতীয় নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করেন তারা। ফলে বুধবার মন্ত্রী হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন যে ২৩ জন, তাদের মধ্যে কেবল ৯ জন নতুন সরকারে থাকছেন।ভোটের আগে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও এবার ডাক পাননি।

 

 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদও নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পাননি। বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে তিনজন এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পেয়েও পরাজিত হয়েছেন তিনজন। এই ছয়জনের কেউ নেই নতুন মন্ত্রিসভায়।

 

বাদ পড়ার তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর পাশাপাশি বাদ পড়েছেন প্রতিমন্ত্রীও। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়েও একই ঘটনা ঘটেছে।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রীর পাশাপাশি বাদ পড়েছেন উপমন্ত্রীও। বাদ পড়া মন্ত্রীদের সবাই গত ৭ জানুয়ারির ভোটে জিতে সংসদ সদস্য হয়েছেন। 

 

প্রতিমন্ত্রী যারা বাদ

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসাও থাকছেন না নতুন সরকারে।

 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদও নতুন মন্ত্রিসভায় নেই। ভোটের আগে টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করা পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমও ডাক পাননি।

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবার জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। ফলে তাদের বাদ পড়াটা অনেকটা অনুমেয় ছিল।

 

মনোনয়ন পেয়েও ভোটে হেরে যাওয়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. স্বপন ভট্টাচার্য্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও ডাক পাননি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমও ডাক পাননি এবার।