ঢাকা, ২৯ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৬০

রবীন্দ্রনাথের জাতীয় সঙ্গীত বদলাতে চান বিজেপি নেতা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২২ ১৩ ডিসেম্বর ২০২০  

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বদলাতে চান দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপির সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। 

 

দলীয় শীর্ষ নেতার কাছ থেকে দ্রুত জবাব পেয়ে অভিভূত স্বামী। সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ে টুইটারে পোস্ট করেছেন তিনি। পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।

 

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে গেল দুই বছর ধরে নানাভাবে রবীন্দ্রনাথের নাম টেনে আনছেন মোদি এবং তার নেতাকর্মীরা। 

 

কবিগুরুর লেখা নিয়ে আপত্তি তুলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। মোদি ক্ষমতায় আসার পর সঙ্ঘের শিক্ষা সেলের নেতা দীননাথ বাত্রা এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম থেকে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাদ দেয়ার সুপারিশ করেন।

 

তবে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে এসময়ে বিভিন্ন জায়গায় ‘রবীর’ নানা কবিতা আবৃত্তি করেছেন মোদি। তার দলের নেতারাও ওপার বাংলায় এলে রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করেন। 

 

সেই পরিস্থিতিতে স্বামীর টুইট ঝামেলা পাকিয়েছে। তার দাবি, দেশের যুবসমাজের বড় অংশের মনের কথা বলছেন তিনি। 

 

ভারতীয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, দিল্লির সাবেক অধ্যাপকের আপত্তি মূলত জাতীয় সঙ্গীতে ‘সিন্ধু’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে। 

 

স্বামীর মতে, বর্তমান জাতীয় সঙ্গীতে কিছু শব্দ (সিন্ধু) অনাবশ্যক। সেগুলো ধন্দ তৈরি করে। বিশেষ করে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে।

 

রবীন্দ্রনাথের ‘জন গণ মন’-র বদলে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় সঙ্গীত ‘কাওয়ামি তারানা’র প্রথম পঙক্তি ‘শুভ সুখ চ্যান’ গাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (আইএনএ) গাওয়া ‘জন গণ মন’র আদলে এটি লেখা।

 

১৯৪৩ সালে সুভাষ বসুর নির্দেশে মুমতাজ হোসেন এবং কর্নেল আবিদ হাসান সাফরানি গানটি রচনা করেন। তারা আইএনএ’র সদস্য ছিলেন। তাতে সুর দেন ক্যাপ্টেন রাম সিং ঠাকুর। 

 

এখন রবীন্দ্রনাথের ‘জন গণ মন’-র প্রথম পঙক্তি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হয়। এতে ৫২ সেকেন্ড সময় লাগে। সেখানে আইএনএর ‘কাওয়ামি তারানা’র প্রথম পঙক্তি গাইতে সময় লাগে ৫৫ সেকেন্ড।

 

জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ বদল নিয়ে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের বক্তব্য টেনে এনেছেন স্বামী। বিজেপির এ প্রবীণ নেতা জানান, ১৯৪৯ সালে রাজেন্দ্র বলেন; প্রয়োজনে জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ পরিবর্তন, পরিমার্জন কিংবা সংশোধন করা যেতে পারে।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর