ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১১০৮

রমজানে খেজুর খাওয়ার ১০ উপকারিতা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:২৭ ১৭ এপ্রিল ২০২১  

চলছে রমজান, এসময়ে প্রায় সব মুসলিম খেজুর খান। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, উপকারি তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার এবং আরও নানাবিধ খনিজ। আছে উপকারি ভিটামিনও। 


তাই প্রতিদিন ৩-৪টা খেজুর খেলে শরীরের দারুণ উপকার হয়। বিশেষত যারা কোষ্ঠকাঠিন্য বা কোনও ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য এই ফল মহৌষধ! তবে এখানেই শেষ নয়। খেজুর নিয়মিত খেলে মেলে আরও অনেক উপকার। চলুন জেনে নিই সুস্বাদু এই মরু ফলটি খেলে আরও কী কী উপকার পাওয়া যায়-


দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত খেজুর পাতার রস পান করা হয়, তাহলে শরীরের ভেতরে বেশ কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে চোখে পড়ার মতো! সেই সঙ্গে নাইট ব্লাইন্ডনেসসহ চোখের অন্য রোগের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।


এনার্জির ঘাটতি দূর করে
এই ফলে থাকা প্রাকৃতিক সুগার রক্তে মেশার পর এমন মাত্রায় খেল দেখাতে শুরু করে যে শরীর একেবারে চনমনে হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মানসিক ক্লান্তি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই এবার থেকে যখনই ক্লান্ত লাগবে এক-দুটো খেজুর খেয়ে নেবেন, তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে!


হার্টের ক্ষমতা বাড়ে
ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে 'এলডিএল' বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।


পেটের রোগের প্রকোপ কমায়
প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফল খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের পেটের রোগই আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩টা করে খেজুর খেলে শরীরে ভেতরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদহজম, কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।


অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ
খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগ দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানেই শেষ নয়, ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজও রয়েছে। ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়।


হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড়কে এতটাই শক্তপোক্ত করে যে, বয়স্কালে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, এই ফলে উপস্থিত সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


ওজন বৃ্দ্ধি পায়
নানা কারণে যাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে যেতে শুরু করেছে, তারা আজ থেকেই খেজুর খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ ফলটিতে উপস্থিত ক্যালরি শরীরে ভাঙন রোধ করে ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
খেজুরে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন এবং খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ার বাড়াতেও এই ফলটি দারুণভাবে সাহায্য করে। এবার নিশ্চয়ই বুঝেছেন বাচ্চাদের প্রতিদিন কেনও খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।


অ্যানিমিয়া রোগ দূরে রাখে
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলেই মূলত এই ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই শরীরে যাতে এই খনিজটির ঘাটতি কোনও সময় দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে খেজুর দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? এই ছোট্ট ফলটি আয়রণ সমৃদ্ধ। তাই অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।


অ্যালার্জির প্রকোপ কমায়
২০০২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছিল, খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই যারা সারাবছরই এই রোগে ভুগে থাকেন, তাদের রোজের ডায়েটে ফলটির অন্তর্ভুক্তি মাস্ট!