ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি রোববার, ২০২৫ || ৬ মাঘ ১৪৩১
good-food
৭২৫

রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর চা চক্র

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪০ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গেল নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জোট এবং সংগঠনের নেতাদের সম্মানে চা চক্রের আয়োজন করেন।
শনিবার বিকেলে গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বরে আয়োজিত চা চক্রে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু), জাপা (মঞ্জু), জাসদ (আম্বিয়া), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, তরিকত ফেডারেশন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে চা চক্রের অনুষ্ঠান স্থলে আসেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বিভিন্ন টেবিলে ঘুরে নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার . শিরীন শারমিন চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওবায়দুল কাদের, মুহম্মদ ফারুক খান, আব্দুল মতিন খসরু, . আব্দুর রাজ্জাক, . হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, গৃহায়ণ গণপূর্ত মন্ত্রী শম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, জাপা (মঞ্জু) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ (আম্বিয়া) নেতা মইনুদ্দিন খান বাদল নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা চা চক্রে যোগদান করেন।
এছাড়া বিকল্পধারার সভাপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) এম মান্নান, মাহী বি. চৌধুরী, শমসের মোবিন চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোট সভাপতি মিজবাহুর রহমান চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশন সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, সামাবাদী দল সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, বিএনএফ সভাপতি ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা, অন্যান্য আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোট নেতা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপলক্ষে গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বর আবহমান গ্রামবাংলার সাধারণ বাড়িঘরের আদলে সাজানো হয়। কুঁড়েঘরের সঙ্গে বসার জন্য মাদুর মোড়া পাতা হয়। খাবার পরিবেশনের জন্য মাটির পাত্র ব্যবহার করা হয়। এসময় দেশাত্ববোধক সঙ্গীত বাজানো হয়।
অতিথি আপ্যায়নে ছিল ভাপা, চিতই, পাটিসাপ্টা এবং পুলিসহ হরেকরকম দেশী পিঠা, চটপটি, ফুচকা, মুড়ি, মোয়া, নাড়ু জিলেপি। এছাড়া মোগালাই খাবার হিসেবে ছিল কাবাব নান রুটি।
পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে চা চক্রে যোগদানকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আপনারা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনাদের উপস্থিতি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। আমরা শুধু কুশলই বিনিময় করিনি। আমরা শীতের পিঠা খেতে খেতে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে রাজনৈতিক বিষয়ে পরস্পরের সঙ্গে আমাদের অভিমত শেয়ার করেছি।

প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের আয়োজন সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর শুভ উদ্যোগে আপনারা সবাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন।
কাদের বলেন, গেল ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত সংলাপের মাধ্যমে খোলামেলা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন শেষে আমরা সহযোগিতা চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও নির্বাচনের সময় জাতির কাছে দেয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করতে চান।
মন্ত্রী যোগ করেন বলেন, আমাদের সব নেতার পক্ষে আমি এজন্য আপনাদের সবার কাছে সবরকম সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী তার চা চক্রে ৫৪টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানান। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা ছাড়া সব রাজনৈতিক দলই চা চক্রে যোগদান করে। নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু কন্যা গণভবনে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন।