ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৪৭

রাজশাহীর আম ১৫ মে থেকে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:২৯ ১২ মে ২০১৯  

রাজশাহীতে মৌসুমী ফল আম নামানো যাবে আগামী ১৫ মে থেকে। তাই বাজারে রাজশাহীর আম পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে আর ৩ দিন। প্রথম ধাপে পাওয়া যাবে গুটি জাতের আম।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, ফল গবেষক, আম চাষি ও আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গাছ থেকে আম নামানোর এ সময় নির্ধারণ করা হয়।

 

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের জানান, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, সব ধরনের গুটি আম ১৫ মে, গোপালভোগ ২০ মে, রাণী পছন্দ ২৫ মে, খিরসাপাত ও হিমসাগর ২৮ মে, লক্ষ্মণভোগ ও লখনা ২৫ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ১৬ জুন, ফজলি ও সুরমা ফজলি ১৬ জুন এবং আশ্বিনা আম ১ জুলাই থেকে পাড়া যাবে।

 

আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় এসএম আবদুল কাদের আরও বলেন, এর আগে কেউ আম পাড়লে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কারও বাগানের আম নির্ধারিত সময়সূচির পূর্বে পেকে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিতভাবে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে পাড়তে পারবেন।

 

সভায় পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ, রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল আলীম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামসুল হকসহ আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

জেলা প্রশাসক বলেন, রাজশাহীর আমে কখনও ফরমালিন মেশানো হয় না। কৃত্রিমভাবেও আম পাকানোও হয় না। যখন বাজারে অনেক আগে কিংবা পরে আম পাওয়া যায়, তখন অনেকেই মনে করেন যে আমে কেমিক্যাল দেয়া আছে। ক্রেতাদের এই ভীতি দূর করতেই আম পাড়ার একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে দেয়া হলো। এতে কেউ মনে করবেন না, এই আম এখন গাছে থাকার কথা নয়। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় সবার আগে চাষিদের স্বার্থরক্ষা হচ্ছে কি না, তা বিবেচনা করে দেখা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী আম নামানো হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করা হবে। এজন্য প্রত্যেক উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে আম পাড়া হলে এই কমিটি ব্যবস্থা নেবে। আর চাষি ও ব্যবসায়ীদের সব সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাজ করবে।