ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৭ পৌষ ১৪৩১
good-food
১৩০৭

রুচির দুর্ভিক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:০৬ ২৮ এপ্রিল ২০২০  

আহমদ সফিউদ্দিন : 

যে কোন ভাস্কর্য বা নান্দনিক স্থাপনা নির্মাণের আগে ল্যান্ডস্কেপ স্থপতির পরামর্শ নেয়া হয়। স্থান নির্বাচনের সময় দেখা হয় আশপাশের কোন স্থাপনা আই ভিউতে এসে বিরক্ত করছে কীনা। প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কীনা। সেরা উদাহরণ তাজমহল, যার চারপাশের কয়েক মাইল এলাকায় উঁচু ভবন নির্মাণ নিষিদ্ধ।

 

সাবাস বাংলা নির্মাণ কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে ঢাকা থেকে আগত প্রখ্যাত শিল্পীবৃন্দ ও স্থপতিদের সাথে বেশ কয়েক দফা সভায় থেকেছি ভিসি বাসভবনের লাউঞ্জে। দেখেছি কী পরম যত্ন এবং মমতায় তাঁরা স্থান নির্বাচন করেছেন।

 

সিনেট ভবনটি যাতে দৃষ্টি সীমায় না আসে সেজন্য মঞ্চ এবং ভাস্কর্য উঁচু বেদীতে স্থাপন করা হয়। মূল ডিজাইনে না থাকলেও পরে ভাস্কর্যে পতাকা সংযোজন করা হয়। নিতুন কুন্ডুর সাথে এসব নিয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল না থাকায় রাকসুর উদ্যোগে বহু কষ্টে চাঁদা তুলে নির্মান খরচ জোগানো হয়েছিল। নিতুন কুন্ডু পারিশ্রমিক নেননি। জাহানারা ইমাম এটি উদ্বোধন করেন।

 

দেশে মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য এই সাবাস বাংলা। প্রথমে সংবাদপত্রে ডিজাইন আহ্বান করে ও পরে দেশের শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানান ভিসি আমানুল্লাহ আহমদ। তাঁর নেতৃত্বে রাকসু এই মহান ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

পরবর্তীতে সাবাস বাংলার গুরুত্ব কমাতে বিপরীত দিকে তুলনামূলকভাবে নিম্নমানের একটি ভাস্কর্য রাবি ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উদ্বোধন করানো হয় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দিয়ে। তখন এই স্থান নির্বাচনের প্রতিবাদ হয়েছিল।

 

উন্নয়নের নামে রাবি প্রশাসনের হাতে এখন কোটি কোটি টাকা। কীভাবে কত শীঘ্র খরচ করা যায় তারই যেন প্রতিযোগিতা। নব্য প্রগতিপন্থি দাবিদারগণ সিনেট ভবনের সামনে এবং প্রশাসন ভবনের পাশে কাছাকাছি ভাস্কর্য করে এরই মধ্যে সাবাস বাংলার গুরুত্বহানি করেছেন। মতিহারের অপরূপ প্রাকৃতিক রূপটি ধ্বংস করেছেন। এগুলি দূরে দূরে থাকলে ভাস্কর্যগুলির গুরুত্ব আরো বাড়তো। শান্তিনিকেতনে লাগালাগি কোন ভাস্কর্য নেই।

গাছের জন্য ১ মিনিট বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর