ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪২১

রেড-ইয়োলো-গ্রিন জোনে ঢাকা : বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:২৩ ১৬ জুন ২০২০  

কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটির ৪৫টি এলাকাকে রেড জোনভুক্ত করা হয়েছে।


সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রেড জোনে লকডাউন কার্যকর হবে। এসব এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে সেনাবাহিনীর টহলও বাড়ানো হচ্ছে।

 

তবে এ ৪৫ এলাকায় লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে জটিলতা দেয়া দিয়েছে। এলাকাভিত্তিক বিস্তারিত নকশা বা ডিমার্কেশন না পেলে লকডাউন কার্যকর করা ‘সম্ভব নয়’ বলে জানিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে এলাকাভিত্তিক বিস্তারিত ডিমার্কেশন চেয়েছে দুই সিটি।

 

দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকার মধ্যে দক্ষিণ সিটির ২৮টি ও উত্তর সিটির ১৭টি এলাকা রয়েছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ডিমার্কেশন বা নকশা পেলে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব এলাকায় লকডাউন কার্যকর করা যাবে।


কিন্তু এখনো পর্যন্ত দুই সিটি এলাকাগুলোর নাম পেলেও লকডাউন কার্যকর করার জন্য অফিসিয়ালি মাদার প্রতিষ্ঠান (নিয়ন্ত্রক মন্ত্রণালয়) থেকে কোনও নির্দেশ পায়নি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

 

এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে ১৭টি এলাকার কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছি, আমাকে যত দ্রুত সম্ভব জোন ও এলাকাভিত্তিক ডিমার্কেশন করে দিতে হবে। যদি সম্ভব হয়, কোন বাড়িতে, সম্ভব না হলে কোন লেনে, তার পরে হচ্ছে কোন মহল্লায়, কোন ওয়ার্ডে এটা আমাকে নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।

 

তিনি বলেন, আমাদের যেসব এলাকার নাম দেয়া হয়েছে, সেটা কিন্তু অনেক বিরাট এলাকা। ম্যাপিং না করে দিলে এটা কার্যকর করা   সম্ভব না। আমরা চাচ্ছি, এলাকাকে যতো কম্বাইন্ড করে দেয়া যাবে তত আমাদের ম্যানেজ করতে সুবিধা হবে।


লকডাউন কার্যকর করতে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা ২৮টি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) রেডি করেছি। ডিমার্কেশন পেলে সর্বনিম্ন ৪৮ ঘণ্টা ও সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা লকডাউন করতে পারব। আগে জানাতে হবে, কোন এলাকার কতটুকু লকডাউন হবে।

 

তিনি বলেন, আমাদের যে ১৭টি এলাকার কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছি, আমাকে যত দ্রুত সম্ভব জোন ও এলাকাভিত্তিক ডিমার্কেশন করে দিতে হবে। যদি সম্ভব হয়, কোন বাড়িতে, সম্ভব না হলে কোন লেনে, কোন মহল্লায়, কোন ওয়ার্ডে এটা আমাকে নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। তাহলে আমরা এলাকাগুলোকে সুনির্দিষ্ট করে নিতে পারবো।"

 

অন্যদিকে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তো একটি সরকারি সংস্থা। আমাদের নির্দেশ দিতে হবে যে- তুমি তোমার এ এলাকা লকডাউন কর। তাহলেই আমরা সেটা বাস্তবায়ন করব। কিন্তু এ নির্দেশ তো কেউ আমাদেরকে দেয়নি। এটা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণলয় অফিসিয়ালি নির্দেশ দিতে হবে। এখন পর্যন্ত লকডাউনের বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনও নির্দেশনা আসেনি।

 

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটা কমিটি করা হয়েছে। সেখানে আমাদের মেয়রকে রাখা হয়েছে। কিন্তু কমিটির নিচে কারও স্বাক্ষর নেই। এভাবে তো হতে পারে না।

 

ঢাকা উত্তর সিটির রেড জোন ঘোষিত ১৭ এলাকা :

 

উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো : বসুন্ধরা, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটির রেড জোন ঘোষিত ২৮ এলাকা :
 

দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে : যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর