ঢাকা, ২৯ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১২৮১

শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খান আনারস

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৪৯ ১০ জুলাই ২০২০  

আনারস একটি খুবই জনপ্রিয় ফল। মূলত বর্ষাকালে আমরা এটি খেয়ে থাকি। মুখের স্বাদের পাশাপাশি শরীরের অনেক উপকারের জন্য এ ফল খেয়ে থাকি আমরা। একই সঙ্গে আচার ও চাটনি হিসেবেও আনারস খাওয়া যায়। 
রসালো এ ফলের রয়েছে বহু উপকারিতা। জ্বর ও জন্ডিস রোগের জন্য দারুণ উপকারী এটি। ভিটামিন সি থাকার কারণে আনারম সর্দি, কাশির উপশম হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
১২ মাস আনারস খেলে খুবই উপকার পাওয়া যাবে। এর প্রচুর ক্যালরি আমাদের দেহে শক্তি জোগায়। তাই যারা একটু দুর্বলতায় ভুগছেন, তারা এটি খেতেই পারেন। 
হজমেও ব্যাপক সাহায্য করে আনারস। যাদের পেটে গোলমাল, গ্যাস্ট্রিক থাকে তারা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন এটি।িএ ফল গলা ব্যথা, সাইনোসাইটিস জাতীয় অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করে। 
আনারস চোখের জন্য খুব উপকারী। তাই যাদের চোখে সমস্যা আছে, তারা মাঝে মধ্যেই এটি খেতে পারেন। এ ফল খেলের প্রসবের জ্বালাপোড়া কমে।
এ ফল প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। ফলে এটি হাড় মজবুত রাখে। আনারস খেলে ভালো থাকবে মাড়ি ও দাঁত। ক্যালসিয়াম দাঁতের জন্য বেশ উপকারী। তাই রোজ সকালে খাবারের পর বা দুপুরে তা খাওয়া যেতেই পারে। 
ত্বকের অসুখ, জিহ্বা, তালুর যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে আনারস উপকার দেয়। সেই সঙ্গে সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে। 
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও ব্রণ দূরীকরণে আনারসের বিকল্প নেই। রূপলাবণ্য বৃদ্ধিতে এর যথেষ্ট কদর রয়েছে। তারুণ্য ধরে রাখে এটি। দেহে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃৎপিণ্ডকে সুচারুরূপে কাজ করতে সাহায্য করে। হার্ট আমাদের শরীরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ। তাই নিয়মিত এ ফল খাওয়া যেতে পারে।
প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে আনারসে। যা হাড় ও কানেক্টিভ টিস্যুকে শক্তিশালী করে। ঠাণ্ডা দূর করে। কিডনি ও লিভারের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কৃমি দূর করার জন্য সকালে খালি পেটে এটি খাওয়া উচিত। পেটের জন্য এ ফল খাওয়া যেতেই পারে। পায়খানাও ক্লিয়ার করে। 
মাথায় রাখতে হবে আনারস রান্না করে না খেয়ে, চাটনি কিংবা আচার করে না খেয়ে কাঁচা খাওয়া উচিত। এতে উপকারিতা বেশি। সব পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।