ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি শনিবার, ২০২৫ || ১৮ মাঘ ১৪৩১
good-food
৫০৪

শহরের বাসিন্দা ২ জন, তবু মাস্ক ছাড়া বের হন না

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২৬ ২২ অক্টোবর ২০২০  

গোটা শহরে বাসিন্দা মাত্র দু’জন। তবু করোনার ঝুঁকি নিতে চান না তারা। যখনই বাইরে যান, মাস্ক পরতে ভোলেন না। অথচ এদেশে বারবার সতর্ক করার পরও এখনও অনেকে এটি পরেন না। কিন্তু মাস্ক পরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ইতালির দুই প্রবীণ নাগরিক।

 

ইউরোপের দেশটির নোরটোসে শহরের বাসিন্দা ৮২ বছরের জিওভান্নি কারিল্লি এবং ৭৪ বছরের জিয়াম্পিয়েরো নোবিলি। ছোট্ট শহরটিতে এ দুই প্রবীণ ছাড়া আর কেউ বাস করেন না। স্বভাবতই তাদের কোনও প্রতিবেশী নেই। খুব কম শহরের বাইরে যান তারা। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক কম।

 

তবু বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেন না জিওভান্নি ও জিয়াম্পিয়েরো। যখন তারা দেখা করেন, মাস্ক পরেন। পাশাপাশি অন্তত পরস্পরের মধ্যে ১ মিটার ব্যবধান রেখে চলেন।

 

ইতালির পেরুগিয়া আমব্রিয়াতে অবস্থিত নোরটোসে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৯০০ মিটার। ফলে সেখানে পৌঁছানো বেশ কঠিন। প্রায় জনবিচ্ছিন্ন শহরে থেকেও এ দুই প্রবীণ নাগরিক করোনা নিয়ে সতর্ক।

 

সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জিওভান্নি বলেন, আমি এখানে একাই থাকি। যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে আমাকে কে দেখবে? আমার বয়স হয়েছে, তবু ভেড়ার পাল, ফলের বাগান, মৌচাক দেখে আমি আরও বাঁচতে চাই। আমার জীবন নিয়ে খুব সুখি।

 

জিয়াম্পিয়েরো বলেন, নিরিবিলি শহরে থাকলেও নিয়ম মানাটা আমার দায়িত্ব। শুধু স্বাস্থ্যরক্ষায় মাস্ক পরি না। কেবল এ কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি না। এটা ভালো বা খারাপ অভ্যাসও নয়৷ মূল কথা হচ্ছে, কোনও নিয়ম তৈরি হলে নিজের এবং অন্যদের স্বার্থে তা মানা উচিত। এটা একটা নীতির বিষয়।

 

কফি পানের জন্য দেখা করা হোক কিংবা প্রাচীন রোমান ফোয়ারা থেকে পানি আনতে যাওয়া-সবসময় একে অপরের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব পালন করেন জিওভান্নি ও জিয়াম্পিয়েরো। প্রথমজন নোরটোসে জন্মগ্রহণ করলেও জীবনের বেশিরভাগ সময় রোমে কাটিয়েছেন। অবসর নেয়ার পর ফের এখানে ফিরে আসেন তিনি। আর দ্বিতীয়জন অন্য শহরে জন্ম নেন। 

 

সম্পর্কে জিওভান্নির শ্যালকের ভাই জিয়াম্পিয়েরো৷ শহরের বাইরে গিয়ে অনেক দিন পর নিজেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তারা।

 

জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ইতালিতে মোট ৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারণঘাতি ভাইরাসে দেশটিতে ৩৬,৪২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

বিচিত্র বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর