ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৯০

শিশুর হাতে স্মার্টফোন, যেসব বিষয় মাথায় রাখতেই হবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৬ ২০ জানুয়ারি ২০২১  

প্রত্যেক পরিবারেই এখন রয়েছে স্মার্টফোন। আর শিশুদের তা থেকে দূরে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। তারা যখনই হাতে পাচ্ছে, তখনই টেনে নিচ্ছে। এর থেকে মুক্তির উপায় কী?

 

এ নিয়ে অনেক অভিভাবক, শিক্ষক বা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ মনে করেন, অল্প বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু তা যেন ব্যক্তিগত না হয়। কারও আবার মনে হয়, এই বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার করা শুরু করলে অর্থাৎ ব্যক্তিগত ফোন থাকলে বাচ্চারা অনেক বেশি স্বাধীন মনে করে নিজেদের। পাশাপাশি বহু খারাপ কিছু শিখতে পারে।

 

এ থেকে সাবধান হওয়ার অনেক উপায় আছে। বাচ্চাদের শিখিয়ে দিতে হবে প্রথমেই যে, ফোন সংক্রান্ত বা অন্যান্য কোনও ধরনের পাসওয়ার্ড শেয়ার করা উচিৎ হবে না। তাদের বলে দিতে হবে, পাসওয়ার্ড থাকলে ফোন ও তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে বাবা-মায়ের হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং দেখে নিতে হবে কী শেয়ার করছে তারা।

 

স্মার্টফোন মানেই আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকসেস থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের ফ্রেন্ডলিস্ট, পোস্ট ও পার্সোনাল ইনফো, কী কী তারা শেয়ার করছে; সেদিকে নজর রাখলে ভালো।

 

স্কুল-বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর বা এই ধরনের কোনও ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে শেয়ার না করলে ভালো। এতে কেউ ট্র্যাক করতে চাইলে পারবে না। তথ্য নিয়ে অসৎ কাজে ব্যবহারের আশঙ্কাও থাকবে না। অর্থাৎ সব পরিচয় না দিলেই ভালো।

 

অনেক অভিভাবকেরই অভিযোগ থাকে, ছেলেময়েরা ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সারাদিন। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়। অনেকের ফোনের নেশাও হয়ে যায়। তাই তাদের জন্য নো-ফোন টাইম নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। অর্থাৎ দিনের বেশ কিছু নির্দিষ্ট সময়, যেখানে বাচ্চারা ফোন ব্যবহার করবে না, সেটা বেঁধে দিতে হবে।

 

অনলাইনে কিছু শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। অচেনা কারও সঙ্গে ফোন নম্বর বা ব্যক্তিগত কোনও তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অজানা মানুষজনের সঙ্গে মেলামেশা না করে, নিজের পরিচিত সার্কেল বানিয়ে নিলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।