ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৫২৭

শীতের আগমন, বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে কী করবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫৬ ১৮ অক্টোবর ২০১৯  

শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে এসেছে হেমন্ত। দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। এখন বাচ্চাদের সাবধানে রাখার সময়। ঋতু পরিবর্তনের এসময়ে বিশেষত বাচ্চারা নানা রোগে আক্রান্ত হয়। হাঁচি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথাসহ নানা শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়। এসবই ‘কমন কোল্ড’ বা ঠান্ডা লাগা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম, চিকেন পক্স, হুপিং কফ থেকে হতে পারে।
ভারতের চিকিৎসক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানান, কিছু বাচ্চা ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা বা ব্রঙ্কাইটিসে ভোগে। তাদের জন্য সময়টি খুবই কষ্টকর। এসময়ে মাঝে মধ্যেই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। শীতকালীন ডায়রিয়া হয় বাচ্চাদের। এজন্য দায়ী রোটা ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হলে বাচ্চারা শীতে ডায়রিয়ার কষ্ট পায়।
শীতের আগমনে বাচ্চাদের আরও কিছু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, এসময়ে বাচ্চাদের টনসিলাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। এ রোগে গলা ব্যথা, জ্বর, ঢোক গিলতে ব্যথা লাগে তাদের। খুব ছোট বাচ্চারা কষ্টের কথা, অস্বস্তির কথা জানাতে পারে না। তাই তারা অনবরত কাঁদতে থাকে। ঘ্যানঘ্যান করে। শীতের সময়ে গলার সংক্রমণ বা ফ্যারিঞ্জাইটিসেও আক্রান্ত হয় বাচ্চারা। ছোটদের ক্ষেত্রে এ রোগও বেশ কষ্টকর। অনেকের ধারণা, গরমকালেই শুধু চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু শীতকালেও তা হতে পারে। বিশেষ করে বিভিন্ন ছত্রাকের আক্রমণ হয়। ফলে বাচ্চাদের দাদ, চুলকানি ইত্যাদি অস্বস্তিকর চর্মরোগ বেশি করে হতে পারে।
সৌমশঙ্কর জানিয়েছেন, শীতের আগে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বাচ্চাদের সম্পর্কে সাবধান থাকা দরকার। বেশ কয়েকটি বিষয়ে সাবধানতা দরকার হয়। ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকে নজর রাখা জরুরি। তাই শীতের পোশাক ব্যবহার করা দরকার। বাচ্চাদের গলা যেন ফাঁকা না থাকে। তাই মাফলার পরিয়ে বাইরে বের করা দরকার। যেসব বাচ্চা হাঁটতে শেখেনি, তাদের দিকে নজর দেয়াটা বেশি করে দরকার। ঠাণ্ডা লাগলে বাচ্চাদের গার্গল করানো যেতে পারে। দিনে অন্তত তিনবার গার্গল করানো যেতে পারে। মধু, তুলসী ইত্যাদি খেলেও ঠান্ডা লাগা এবং গলা ব্যথা থেকে আরাম মিলতে পারে।
খাওয়া দাওয়ার বিষয়েও সচেতন থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন এ চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, বাচ্চাদের পানি ফুটিয়ে খাওয়ানো উচিত। বাসি খাবার এবং না ঢাকা খাবার খাওয়ানো উচিত নয়।  অ্যাজমায় ভোগা রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনহেলার ব্যবহার করতে পারেন। তাতে আরাম মিলবে। ঠাণ্ডা লাগলে বা গলা ব্যথা হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রতিষেধক ও ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।