ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৯৮

শুধু পানি নয়, ডাবের শাঁসও উপকারী, দূরে থাকে ৫ রোগ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:২৬ ৭ নভেম্বর ২০২২  

ডাবের পানির একাধিক উপকারিতা রয়েছে। শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করে দেয় এই পানি। এছাড়াও শরীর হাইড্রেট রাখতে ভূমিকা রয়েছে ডাবের পানির। ডাব খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? এই নিয়ে একাধিক বিতর্ক থাকলেও সকালের দিকে এই পানি খেতে পারলে সবচাইতে ভালো। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে এই ডাবের পানির।

 

এছাড়াও ওজন বাড়তে থাকলে সেই বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে ডাবের পানির। যাদের থাইরয়েড রয়েছে, তাদেরও নিয়ম করে ডাবের পানি খেতে বলা হয়। ডাব খেয়ে বাকি অংশ অর্থাত্‍ মালাই ফেলে দেওয়া আমাদের অভ্যাস। অনেকেই আবার এই মালাই চেটেপুটে খান। আর মালাই যে কোনও রান্নায় স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডাবের মালাইয়ের একাধিক উপকারিতা রয়েছে।

 

ডব্লিউইবিএমডিতে প্রকাশিত সম্প্রতি এক গবেষণা অনুসারে ডাবের শাঁসেরও একাধিক উপকারিতা রয়েছে। প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, কোলিন, পটাসিয়াম রয়েছে এই ডাবের মধ্যে। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য রক্ষাতেও ভূমিকা রয়েছে এই ডাবের পানির।

 

কোষের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল ডাবের শাঁস। এতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে। যা উচ্চ রক্তচাপ, পেশীর টান, ক্লান্তি এসব থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। এছাড়াও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই ক্রিমের। প্রতিদিন এই শাঁসসহ ডাব খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লেই হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা থেকে যায়। ইদানিং উচ্চ রক্তচাপ আর কোলেস্টেরলের সমস্যা ঘরে ঘরে। ফলে সেই ঝুঁকি এড়াতে দৈনিক এই ডাব আর শাঁস খেতে পারলে খুবই ভালো।

 

আলসার রুখতেও খুব ভালো কাজ দেয় নারকেলের শাঁস। এমনিতে আলসারের রোগীদের হালকা খানার, ডাবের পানি, বাটার মিল্ক এসব খেতে বলা হয়। আর তাই ডাবের পানির থেকেও এই শাঁস অনেক বেশি উপকারী। এতে পেট ঠাণ্ডা থাকে, নারকেলের মালাই পেটের উপর একটা পাতলা আস্তরণ তৈরি করে। যে কারণে জ্বালাভাব কম থাকে।

 

মেটাবলিক সিনড্রোমে অনেকেই ভোগেন। মেটাবলিজম কমে গেলে ওজন কমাতেও একাধিক সমস্যা হয়। এছাড়াও মেটাবলিক সিনড্রোম মানেই উচ্চ রক্তচাপ, হাইকোলেস্টেরল, শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যাওয়া এসব নানা সমস্যা থাকবেই। যে কারণে আগে থেকে সাবধান হওয়া প্রয়োজন।