ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৯৫

শুধু স্বাদে নয়, গুণেও অনন্য ইলিশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৩৯ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  

আমাদের সবার প্রিয় ইলিশ। এ মাছ  খেতে দারুণ সুস্বাদু। এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেক খাদ্য উপাদানের ভাণ্ডার ইলিশ। 

 

পুষ্টিগুণ

১০০ গ্রাম ইলিশে ৩১০ ক্যালরি, ২২ গ্রাম প্রোটিন ও ১৯ দশমিক ৫ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। এ মাছের তেলে আছে পলিআনস্যাচুরেটেড ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ইপিএ ও ডিএইচএ। এগুলো হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যারিথেমিয়া, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিসসহ ব্রেন ডেভেলপমেন্ট ও ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকরী।

 

এছাড়া ইলিশে মানবদেহের জন্য প্রতিদিনের দরকারি ২৭ ভাগ ভিটামিন সি, ২ ভাগ আয়রন ও ২০৪ ভাগ ক্যালসিয়াম থাকে। এতে অধিক পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হার্টের ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়। একইসঙ্গে রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে। এ মাছ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ রাখে।

 

ইলিশে বিদ্যমান ভিটামিন এ  এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড চোখের জন্য উপকারী। এটি রক্ত কোষের জন্যও বিশেষভাবে উপকারী। এতে এপিএ ও ডিএইচএ নামক ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ফলে এ মাছ দেহের রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

 

ইলিশে আরও থাকে ভিটামিন এ, ডি ও ই। খুব কম খাবারের মধ্যেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ এবং ভিটামিন ডি শিশুদের রিকেট রোগ প্রতিরোধ করে।

 

এ মাছে আয়োডিন, সোডিয়াম, জিংক ও পটাশিয়ামের মতো প্রচুর পরিমাণ মিনারেল রয়েছে। আয়োডিন থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে সুরক্ষিত রাখে এবং বিভিন্ন এনজাইম নির্গত হতে সহায়তা করে। যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।

 

ইলিশ থেকে প্রাপ্ত মিনারেল ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন দেহ গঠনে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করে।

 

ওমেগা-৩ ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এর প্রোটিন ত্বকে কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে। ফলে ত্বক থাকে সজীব ও প্রাণবন্ত।