ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি রোববার, ২০২৫ || ৬ মাঘ ১৪৩১
good-food
৭৪৩

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় জানাজা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:০৬ ৬ জানুয়ারি ২০১৯  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া পৌঁছেছে।

রোববার সকালে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের প্রথম জানাজা হয়। এরপর বেলা ১২টার কিছু সময় পর সৈয়দ আশরাফের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে নেয়া হয়। সেখানে আগে থেকে নির্ধারিত তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। 

শোলাকিয়ায় জানাজা শেষে দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহে হবে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হওয়ার পর পুনরায় হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বনানী কবরস্থানে বাদ আছর সৈয়দ আশরাফকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের প্রথম জানাজায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন।

জানাজা শেষে সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে সৈয়দ আশরাফের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনার দোয়া-মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ মৃত্যুবরণ করেন।তাঁর মৃত্যুতে পরিবারসহ রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া পরে যায়। মৃত্যুকালে  তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি এক মেয়ে এবং বহু রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী এবং নেতাকর্মী রেখে গেছেন।

শনিবার বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে একটি ফ্লাইটে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সৈয়দ আশরাফের মরদেহ গ্রহণ করেন।

বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর ২১, বেইলি রোডে তার সরকারি বাসভবনে নেওয়া হয়। 

পরে বেইলী রোডের বাসভবনে থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। রাতে এই হাসপাতালের হিমঘরেই রাখা হয় তার মরদেহ। রোববার সকালে সিএমএইচ থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়।

তাঁর বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ ১৯৯৬ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে টানা পাঁচবার নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও বিজয়ী হন তিনি। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত জুলাই থেকে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আশরাফ মারা যান।