ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭৮৯

শ্রমিক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীকে আরব আমিরাতের ইতিবাচক সাড়া

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০২ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া প্রদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়াদ আল নাহিয়ান। এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার ওয়্যাল প্যালেস প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়াদ আল নাহিয়ান  বলেন, আমি বাংলাদেশ সফরেও আসতে পারি। আরব আমিরাতের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি এবং সেদেশে বিনিয়োগের বিষয়টি খুব ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই বিবেচনা করব।

দিনব্যাপী শেখ হাসিনার নানা অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমিরাতের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের অন্তর্র্ভুক্তির বিষয় নিয়ে সেদেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসবেন। তাতে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা  করা হবে। দেশটির সরকারের নীতিসমূহ বাস্তবায়ন বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।

শেখ হাসিনা যুবরাজকে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের আলোকচিত্র উপহার দেন।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়াদ আল নাহিয়ান প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সাপ্তাহিক মজলিসে নিয়ে যান। সেখানকার নেতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন। সরকারপ্রধান প্রায় আধাঘণ্টা মজলিসে ছিলেন। এসময়ে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে নানা বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।

শহীদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসময় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও যুবরাজের সঙ্গে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হওয়ার বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে সফলভাবে প্রত্যাবাসনে আরব আমিরাতের সহযোগিতা কামনা করেন।

শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়াদ আল নাহিয়ান বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য আমিরাত সরকার আরো নতুন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পে সহযোগিতারও আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি।

শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের একটি অংশ দুবাইয়ের বাহার প্রাসাদে দুবাই মাতা এবং দেশটির স্থপতি শেখ জায়াদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্ত্রী শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারাক আল কেতবী’র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। দুবাই মাতা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং এনজিওসহ নানা বিষয়ে জানার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশে নারী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, দুবাইয়ের নারীদের এক্ষেত্রে আমাদের থেকে অনেক কিছু শিক্ষণীয় রয়েছে। বিশেষ করে ইসলামের নীতি আদর্শ মেনে চলে তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবি ন্যাশনাল সেন্টারে দুবাইয়ের শাসক শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মকতুম’র সঙ্গেও অনির্ধারিত বৈঠকে বসেন। সেখানেও উভয়ের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং শ্রম রপ্তানির বিষয়টি আলোচিত হয়।