ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি রোববার, ২০২৫ || ৬ মাঘ ১৪৩১
good-food
১২০৮

সংসদে দলের অবস্থান কী, জানেন না মেনন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৩ ৩০ জানুয়ারি ২০১৯  

জাতীয় সংসদে নিজ দলের অবস্থান কী, তা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে তিনি নিজেই কথা বলেছেন।

 

দশম সংসদের মতো এবারও সংসদ নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি অংশ নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক হিসেবে গত সরকারে রাশেদ খান মেনন ছিলেন সরকারের অংশ আরেক শরিক জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুও মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন।

কিন্তু এবার জোটের শরিকদের কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অবস্থায় সংসদে ১৪ দলের শরিকদের অবস্থান কী হবে, তারা কি বিরোধী দল নাকি সরকারি দল, তা স্পষ্ট হয়নি এখনও।

 

বুধবার নবনির্বাচিত স্পিকারকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে রাশেদ খান মেনন নিজেও সেই প্রশ্ন তুললেন। বললেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নিয়ে আমরা আনন্দিত। তবে এই আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে আমরা একটু বিব্রতও বটে। আজকে ঢোকার মুখেও (সংসদে প্রবেশের সময়) আমাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, আপনাদের সংসদে অবস্থান কী হবে?’

 

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলের বৈঠকের মধ্যে একটি মন্তব্য করেছেন। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটি অত্যন্ত যৌক্তিক।

তিনি বলেছেন, এই সংসদে সরকারি দল যেমনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের হবে, তেমনি বিরোধী দলও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের হবে। কিন্তু বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত যেটা দাঁড়িয়ে গেছে ... আমাদের বলা হচ্ছে আপনারা কেন বিরোধী দলে গিয়ে বসছেন না। বিষয়টি নিয়ে তো আমাদের কেউ জিজ্ঞাসা করবে, প্রশ্ন করবে বা আলোচনা করবে কিন্তু তা হয়নি। মনে হয় এই সিদ্ধান্ত যেন আমাদের ওপর। মনে হচ্ছে সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।

 

ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বলেন, তাঁরা সরকারের সব উন্নয়নকাজের প্রশংসা করবেন। একই সঙ্গে ত্রুটিবিচ্যুতি যা থাকবে, তার বিরোধিতা করবেন। দশম সংসদেও তাঁরা তা করেছেন। ওয়ার্কার্স পার্টি উন্নয়নমূলক কাজ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক পথে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রতি তাঁদের যেমন সমর্থন থাকবে, তেমনি দুর্নীতি বৈষম্যের প্রশ্নে যেকোনো ব্যত্যয় হলে বা সরকারি কাজে কোনো বিরোধিতার বিষয় থাকলে অবশ্যই তার বিরোধিতার সুযোগ থাকলে তা তাঁরা করবেন।