ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৯৮২

সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার যত কারণ, যেভাবে টিকিয়ে রাখবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:২২ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

একটি মধুর সম্পর্ক গড়া যত না সহজ, সেটি রক্ষা করা তার চেয়েও বেশি কঠিন। ক্ষুদ্র ভুলেই গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিমিষে শেষ হয়ে যায়। সম্পর্কের টানাপোড়নে সাধারণত দুর্বল চিত্তের মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিছু বদ অভ্যাস সম্পর্ক খারাপের জন্য দায়ী। তাই  তা টিকিয়ে রাখতে চটজলদি সেগুলো ত্যাগ করুন।

# সম্পর্ক রক্ষায় অপরের প্রশংসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটি ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। একইসঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করে। অন্যের কাজের প্রশংসা করুন, তা যত ছোট কাজই হোক না কেন। সামান্য ‘ধন্যবাদ’ দিলে সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়।

# বন্ধু-বান্ধব-সহকর্মীদের বিশ্বাস করুন। তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপে নজর রাখুন। ভালো কথা/কাজ হলে উৎসাহিত করুন, সমর্থন দিন। কোনো বিষয়ে খটকা লাগলে তাদের সঙ্গে কথা বলুন, বোঝান- কোনটা সঠিক। আলোচনা সব সমস্যার সমাধান করে। সবার ওপর আস্থা রাখুন। 

# একে অপরকে দোষ দেয়া সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। কাউকে ভালোবাসলে দোষ ধরা বন্ধ করুন। তার খারাপ অভ্যাস থাকতে পারে। তাই তাকে দোষ না দিয়ে বুঝিয়ে বলুন। ভুল শোধরাতে সহায়তা করুন। নিজের ভুল থাকলে নিঃসংকোচে স্বীকার করুন। একে অপরের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা থাকলে সম্পর্ক অটুট থাকে।

# কোনো জায়গায় কারও সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলে দেরি করে যাবেন না। আগে তাকে ফোন করার কথা ভুলে যাবেন না। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য অনেকাংশে দায়ী। সম্পর্ক রক্ষা করতে নিয়মিত ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিতে হবে। কোথাও ডেকে কাউকে অপেক্ষা করাবেন না। কথা দিয়ে কথা না রাখা সম্পর্কের প্রতি অনীহা প্রকাশ করে। ওয়াদা ভঙ্গ করা যাবে না।

# যেকোন সম্পর্কের জন্য মিথ্যা ভয়ানক ক্ষতিকর। এটি ঠিক সত্য সবসময় তিক্ত! কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে যত কঠিন সত্য হোক না কেন তা সঙ্গীকে বলা উচিত। এতে হয়তো সাময়িকভাবে সম্পর্ক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য এটি উপকারী। কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়া যাবে না।

# অনেকে মনে করেন, সম্পর্কে ভালোবাসা থাকাটাই জরুরি, আর কিছু নয়। কিন্তু না! সম্পর্কে একে অপরকে সময় দেয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে অড্ডা দিতে হবে। তাকে কিছু খাওয়াতে হবে। মাঝে মধ্যে উপহার প্রদান করতে হবে।

# একে অপরের প্রতি অনুগত থাকাটা অপরিহার্য। সবসময় সিনিয়রদের ম্যানেজ করে চলতে হয়। তাদের কথায় অস্বস্তি লাগলেও তা সহ্য করতে হয়। মুখে মুখে তর্ক করতে হয় না। চিৎকার-চেঁচামেচি করা যাবে না। বড়-ছোট সবার সঙ্গেই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে। এজন্য যতটা সম্ভব মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। কেউ কটু কথা বললে হজম করা শিখতে হবে। কোনোভাবেই রাগান্বিত হওয়া যাবে না।

সর্বোপরি, একটি সম্পর্ক চারা গাছের মতো। একটি গাছকে যত্ন করে বড় করে তুলতে হয়। সম্পর্ক ক্ষেত্রেও যত্ন, সতর্কতা, বিশ্বাস আর ভালোবাসা প্রয়োজন।