ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১ আশ্বিন ১৪৩১
good-food
১২৩

সম্মানিত হতে চান? করুন ৫ কাজ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৫:০০ ১৩ আগস্ট ২০২৪  

সম্মান অর্জন করার জিনিস, এটি জোর করে পাওয়া যায় না। কেবল কর্তৃত্ব, উচ্চ পদ বা বয়সের কারণে সম্মান দাবি করা যায় না। প্রকৃত সম্মান কর্ম থেকে আসে। ছোট ছোট কাজ, প্রতিদিনের অভ্যাস এবং আচরণ দিয়েই এটি অর্জন করা সম্ভব। আপনার প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজগুলোই সম্মান অথবা অসম্মান বয়ে আনতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কাজগুলো আপনাকে সম্মানিত করতে পারে-

 

১. অন্যদের পরামর্শ দেওয়া বা সাহায্য করা

মেন্টরশিপ হলো আপনার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অন্যদের সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করা। যখন আপনার সহকর্মী, ছাত্র বা বন্ধুকে গাইড করেন তখন তাদের সাফল্যের প্রতি আপনার যত্নশীলতার প্রমাণ পাওয়া যায়। মূল্যবান দক্ষতা ভাগ করে নেওয়া, চ্যালেঞ্জের সময় সমর্থন দেওয়া এবং একটি বিশ্বস্ত সম্পর্ক তৈরি করা এর অংশ। আপনার কাজের মাধ্যমে অন্যদের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলতে পারেন এবং সাফল্য অর্জন করতে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। এর মাধ্যমে তাদের সম্মান পাওয়া যায় খুব সহজেই।

 

২. বাউন্ডারি রাখা

কখন না বলতে হবে তা জানতে হবে। সেইসঙ্গে বজায় রাখতে হবে বাউন্ডারিও। অর্থাৎ কে আপনার জীবনে কতটুকু হস্তক্ষেপ করতে পারে সেই সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। এতে আপনার আত্মসম্মান বজায় থাকবে। এর ফলে যে কেউ আপনার জীবন নিয়ে নাক গলাতে পারবে না এবং আপনিও যে কারও বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে পারবেন। এর ফলে পারস্পারিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

 

৩. কৃতজ্ঞ থাকুন

একটি সাধারণ ধন্যবাদ এবং অন্যরা আপনার জন্য যা করে তার সত্যিকারের স্বীকৃতি জীবনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। কারো প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আরও ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব। মানুষ তাদেরই সম্মান করে যারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং অন্যদের উন্নতিতে সাহায্য করে।

 

৪. কথা বলুন

কথোপকথন থেকে দূরে সরে যাবেন না, পরিবর্তে স্পষ্টভাবে কিন্তু সম্মানের সঙ্গে আলোচনা করুন।
অনেকে কঠিন কথোপকথন এড়াতে থাকে, কারণ অস্বস্তিকর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে এবং এর জন্য যথেষ্ট সাহসের প্রয়োজন হয়। সমস্যা এড়িয়ে গেলে সমস্যার সমাধান হয় না। তাই এই আলোচনাগুলি সরাসরি এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করুন। এতে আপনার সম্মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

 

৫. করতে হবে

দায়বদ্ধ হলে তা অন্যদের সম্মান অর্জনে সাহায্য করে। কারণ এতে প্রমাণ পাওয়া যায় যে আপনি সৎ এবং নির্ভরযোগ্য। আপনি যদি নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং সেগুলো ঠিক করার জন্য কাজ করেন, তখন মানুষ আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য এবং পরিণত হিসেবে গ্রহণ করবে।