ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৯৪

সর্দি-কাশি সারাতে যেভাবে মধু খাবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫৫ ১৫ নভেম্বর ২০২৩  

সর্দি-কাশির সমস্যা বছরের এই সময়ে বেশি দেখা দেয়। কারণ এসময় আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে ধুলোবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে বাড়তে থাকে ঠান্ডার পরিমাণ। আবহাওয়ার এই হঠাৎ পরিবর্তনের সঙ্গে সব সময় আমাদের শরীর খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। এর ফলে খুসখুসে কাশি, সর্দি ইত্যাদির সমস্যা দেখা দেয়। সর্দি-কাশির সমস্যা সারাতে মধুর ব্যবহার বেশ পুরনো। তবে সঠিক উপায়ে না খেলে কাঙ্ক্ষিত উপকার মিলবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সর্দি-কাশি সারাতে মধু খাওয়ার সঠিক উপায়-

 

১. মধু ও লেবু

আপনার চায়ের সঙ্গে মেশান মধু। এরপর তাতে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। এবার সেই চা পান করে নিন। এতেই আপনার সর্দি-কাশির সমস্যা অনেকটা দূর হয়ে যাবে। কারণ চা এবং লেবুরও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এফেক্ট রয়েছে যা এ ধরনের সমস্যা কমানোর কাজে সাহায্য করে।

 

২. গরম পানিতে মধু

সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিন। এরপর কিছুটা ঠান্ডা হয়ে এলে তা মিশিয়ে নিন এক চা চামচ মধু। এবার সেই মিশ্রণটুকু খেয়ে নিন। এভাবে খেলেই উপকার মিলবে। এতে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে আসবে। সেইসঙ্গে বুকে কফ জমে থাকলে তাও বের করে দিতে কাজ করবে। তাই সুস্থ থাকার জন্য এই সময়ে গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

 

৩. মধু ও আদা

কাশির সমস্যা সারাতে আদার ব্যবহারের কথা জানা আছে নিশ্চয়ই? এর সঙ্গে মধু যোগ করে খেলে তা আপনার সর্দি-কাশির সমস্যা সারাতে দারুণ কাজ করবে। সেজন্য প্রথমে এক টুকরো আদা কুচি কুচি করে কেটে নিন। এরপর তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে চুষে চুষে খান। আবার এই মিশ্রণ পানি দিয়েও খেতে পারেন। এতে সর্দি-কাশি তো কমবেই, দূর হবে বুকে জমে থাকা কফও।

 

৪. মধু ও তুলসি পাতা

তুলসি পাতার রয়েছে অনেক উপকারিতা। এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তা আপনার সর্দি-কাশির সমস্যা সারাতে কাজ করবে। এক চা চামচ মধুর সঙ্গে কয়েকটি তুলসি পাতা মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। আবার তুলসি পাতার রস করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এতেই মুক্তি পাবেন সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে। সেইসঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

 

৫. প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু

অন্য কোনো ভেষজ না পেলে প্রতিদিন সকালে শুধু মধুই খেয়ে নিন এক চা চামচ। এতেই কমবে আপনার সর্দি-কাশির সমস্যা। এমনকী বৃদ্ধি পাবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। যে কারণে কমবে সংক্রমণের ভয়। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।