ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৬৭

সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন যেভাবে করবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৩২ ১৭ আগস্ট ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুলপ্রত্যাশিত ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট)  উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের দিন থেকে কেউ চাইলে এই প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করে যুক্ত হতে পারবেন। এজন্য সরকার পৃথক একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে।সেটি হচ্ছেwww.upension.gov.bd।

 

আইন অনুযায়ী, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় চারটি স্কিম থাকছে। প্রথম হচ্ছে প্রবাসী স্কিম, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। বিদেশে কর্মরত প্রবাসীরা দেশীয় মুদ্রায় এই হিসাব খুলতে পারবেন। প্রবাসীরা ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও বৈধ চ্যানেলে এর কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।

 

দ্বিতীয় হচ্ছে প্রগতি স্কিম, এটি বেসরকারি চাকরিজীবী ও প্রতিষ্ঠানের জন্য। তৃতীয় হচ্ছে সুরক্ষা স্কিম, এখানে স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং চতুর্থ সমতা স্কিমে স্বল্প-আয়ের নাগরিকরা অংশ নেবেন।

 

কারা করতে পারবেন?

এই কর্মসূচির আওতায় ১৮ থেকে ৫০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা থাকবে। মাসিক চাঁদা হবে সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। সর্বনিম্ন এক হাজার টাকার মধ্যে পাঁচশ টাকা সরকার প্রদান করবে। পেনশনব্যবস্থায় নগদ টাকায় কোনো লেনদেন হবে না। সব কর্মকাণ্ড হবে অনলাইনে।

 

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করেও চাঁদা দেওয়া যাবে। আর ৫০ বছরের বেশি বয়সিরা এতে অংশ নিতে পারবেন। তবে শর্ত হচ্ছে অংশ নেওয়ার দিন থেকে টানা দশ বছর চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। এরপর তিনি যে বয়সে উপনীত হন, সে বয়স থেকে পেনশন পাবেন।

 

সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে

প্রথমে আপনাকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর সবার ডান পাশের বাটন পেনশনার রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করতে হবে। অথবা সরাসরি এখানে ক্লিক করুন।

 

এরপর রেজিস্ট্রেশন ফরমে আমি সম্মত আছি বাটনে ক্লিক করে প্যাকেজ/স্কিম নির্বাচন করতে হবে; এনআইডির নম্বর দিতে হবে; জন্ম তারিখ নির্বাচন করতে হবে; মোবাইল নম্বর দিতে হবে; ইমেইল আইডিও দিতে হবে। তারপর ক্যাপচা প্রদান করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে।

 

এরপর আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে। সেটি প্রদান করতে হবে। এরপর পরবর্তী পেজে চলে যাবে। সেখানে আপনার এনআইডির ছবিসহ যাবতীয় তথ্য চলে আসবে। এই পেজে আপনাকে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, বার্ষিক আয় উল্লেখ করে পেশা সিলেক্ট করতে হবে।

 

এরপর পরবর্তী পেজে মাসিক চাঁদার পরিমাণ সিলেক্ট করতে হবে এবং চাঁদা পরিশোধের ধরন সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি মাসিক, ত্রৈমাসিক নাকি বার্ষিকভাবে চাঁদা পরিশোধ করবেন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

 

এই পেজে ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, হিসাবের ধরন, রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম, ব্যাংকের শাখা উল্লেখ করতে হবে। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে নমিনির পেজ আসবে। সেখানে নমিনির আইডির ধরন সিলেক্ট করতে হবে। এখানে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট আছে। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্মতারিখ দিতে হবে।

 

এরপর নমিনি সিলেক্ট করুন বাটনে ক্লিক করলে নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য চলে আসবে। সেখানে সম্পর্কের ঘরে সম্পর্ক সিলেক্ট করতে হবে, নমিনির প্রাপ্যতার হার দিতে হবে। নমিনি আরও যুক্ত করা যাবে।

 

এরপর পরবর্তী পেজে চলে গেলে সেখানে সম্পূর্ণ ফর্মটি দেখাবে। এখান থেকে আপনি সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোড করতে পারবেন। সবার নিচে সম্মতি প্রদান চেক বক্সে টিক দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর পেমেন্ট করতে হবে। কিংবা আবেদন সংশোধনও করতে পারবেন।