ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১৬ পৌষ ১৪৩১
good-food
১৩১৩

সহযোগিতা পেলে ঘুরে দাঁড়াবে বাঁশ শিল্প

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৩৩ ১০ জুলাই ২০২০  

সারাদিন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় কাটত কুড়িগ্রাম জেলার পাটনিরপাড় গ্রামের ৫০টি পরিবারের প্রায় ১৫০ জন বাঁশ শিল্পীর। ইরি- বোরো মৌসুমে ধান কাটা শুরু হলে বাঁশের তৈরি জিনিসের প্রয়োজন বেড়ে যেত। তাদের তৈরি কৃষি সংশ্লিষ্ট দ্রব্যাদির চাহিদা চিরন্তন।

বাঁশ দিয়ে তারা তৈরি করতেন গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার্য্য নানা জিনিসপত্র। যেমন– কূলা, ডালি, চালুনি, টালা, বুক সেলফ, মোড়া, টুপরি, ঝাঁপি, ধারাইসহ সব প্রকার কৃষিপণ্য মজুত রাখার পাত্র। নিম্ন জাতের হিন্দু অধ্যুষিত এ গ্রামের সবাই এই পেশার সঙ্গে জড়িত।  কিন্তু কালের পরিক্রমায় তা হারিয়ে যেতে বসেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ, শিশু-যুবক সবাই যে যার মতো বাঁশের জিনিস তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন সময় বিশেষে। সবসময় সেই চিত্র দেখা যায় না। বংশ পরম্পরায় তারা এ পেশা ধরে আছে।  কিন্তু এখন যে অবস্থা তা ছেড়ে দিতে হবে শিগগির। কারণ, পেশা না পাল্টালে পেটে হাত পড়বে, জীবিকায় টান সৃষ্টি হবে।

বয়োবৃদ্ধ বাঁশ শিল্পী অনিল চন্দ্র জানান, সারাদিন পরিশ্রম শেষে তৈরি বস্তু বিক্রি করে যে আয় হয়, তাতে ওই দিনের খাবার ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট্য থাকে না। 

বর্তমানে বাঁশের দাম আগের তুলনায় দ্বিগুন হওয়ায় এ কাজে আর পোষায় না বলে জানান খুকুবালা। একটি বাঁশ কিনতে হয় সর্বনিম্ন ২০০ টাকায় এবং জিনিসপত্র তৈরি করে তা বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। এ আয়ে অনেক টানাপোড়নের মাঝে চলে সংসার।

তাদের দেখলে মনে হয়, জীবন সংগ্রামে তারা পরাস্ত। তবু সবাই মিলে শীর্ণ হাতে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে এ কুটির শিল্পকে। তাই এ শিল্প ও সংশ্লিষ্টদের বাঁচাতে সরকারের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে মনে করেন সচেতন মহল। সবার বিশ্বাস সহযোগিতা পেলে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলার আবহমান ঐতিহ্যে লালিত বাঁশ শিল্প।  

বাংলাদেশকে জানো বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর