ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১২১৬

কয়েক দফা জানাজা ও শ্রদ্ধা

সাংবাদিক শাহ আলমগীরের দাফন বিকেলে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫৩ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর আর নেই  (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

কয়েক দফা জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে আজ বিকেলে মরদেহ দাফন করা হবে।

দুপুর ১.৩০ : গোড়ান পৈতৃক বাড়ি

                  : জানাজা - পূর্ব গোড়ান মক্কা জামে মসজিদ।

 

দুপুর ২:৩০ : প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)

 

বেলা ৩.০০ : জাতীয় প্রেসক্লাব

 

বিকেল ৪.৩০ : উত্তরায় নিজ বাসায়

                     : জানাজা - বাদ আসর, ১১ নং সেক্টর, বায়তুল নূর জামে মসজিদ

 

বিকেল ৫.০০ : উত্তরা ১২ নং সেক্টর কবরস্থানে দাফন

 

বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহ আলমগীর রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, ডায়াবেটিসসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা ভুগছিলেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। 

 

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়।

প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলায়  তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন ।

তিনি  দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-একাজ করেন। শুরু থেকেই    তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

 

পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

সহকর্মীদের জন্য দাবি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখা সাংবাদিক নেতা শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

 

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫ ’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪ পেয়েছেন।

 

শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। বাবার চাকরি সূত্রে ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।

 

পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক ছেলে ও মেয়ের জনক।

 

প্রবীন এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে অসে।

 

শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্যমন্ত্রী ড: হাছান মাহমুদ, বিএফইউজে, ডি ইউ জে, জাতীয়  প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

মিডিয়া বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর