ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৯২০

লণ্ডভণ্ড পশ্চিমবঙ্গ উপকূল

সাগরদ্বীপ-সুন্দরবনে বুলবুল’র আঘাত (লাইভ)

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২১ ৯ নভেম্বর ২০১৯  

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়লো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। শনিবার রাত ৮টার দিকে ১২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। আপাতত সাগরদ্বীপ-বকখালির মাঝে বুলবুলের অবস্থান।


ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে,  ঘূর্ণিঝড়ে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলের একাধিক কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলে বসবাসরত জেলেদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক গাছপালা ভেঙে সড়কে পড়ে রয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ আরও বাড়ছে। সুন্দরবন এলাকার ওপরও আঘাত হানে ঝড়।

দেশটিতে ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিমানবন্দর।

ঝড়ে লন্ডভন্ড পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক ব্লক ও দিঘা-নয়াচরের বিভিন্ন ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নন্দীগ্রাম ও খেজুরির একাধিক মাটির বাড়ি, রামনগর ২, কাঁথি ১, ২, ৩ ব্লক ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে।


এরপর ঘূর্ণিঝড়টি মধ্যরাতের যেকোনো সময় পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশের খুলনার উপকূল অতিক্রম করার কথা। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।


শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক আয়েশা খানম বলেন, ‘এখন বলা যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রভাগ উপকূলের কাছাকাছি। বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমেছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানলে এর গতি কমতে থাকবে। সাধারণত ভূখণ্ডে বাধা পেয়ে এর গতি কমে আসে।


তিনি আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছিল। পায়রা বন্দর থেকে ২৫৫ কক্সবাজার থেকে ৪৩৫ ও চট্টগ্রাম থেকে ৪২৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছিল এটি।’


এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শনিবার সকালে পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরের ৭ নম্বর সংকেত নামিয়ে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। আর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ৬ নম্বর সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। অন্যদিকে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রয়েছে।


আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে, যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।


ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হবার আশংকা। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর