ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৩৫

সাতক্ষীরায় আম পাড়া শুরু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৪২ ৬ মে ২০২২  

সরকারি নির্দেশনা মেনে বৃহস্পতিবার (৫ মে) থেকে সাতক্ষীরায় বাগান থেকে আম সংগ্রহ শুরু করেছে আমচাষীরা। প্রথম দিন বাগান থেকে পাড়া হলো বিখ্যাত ও সুস্বাদু গোবিন্দভোগ আম। চাষীরা বাজারে এ আম বিক্রি করছে কেজি প্রতি ৬৫ টাকা দরে।

 

সুলতানপুরের আমচাষী ও ব্যবসায়ী কবিরুল ইসলাম জানান, বাগানে ফলন কম হওয়ায় এ বছর আম চাষীরা লোকসানের মুখে পড়বেন। তিনি জানান, যে দামে বাগান তৈরী করেছেন, তার যে খরচ সে খরচ ওঠাতে পারবে না চাষী ও ব্যবসায়ীরা।

 

আম ব্যবসায়ী মোকছেদ আলী জানান, এ বছর আম গাছে ফলন খুব কম। হিমসাগর গাছে শতকরা ৩০ ভাগ আম এসেছে। গোবিন্দভোগ গাছে এসেছে ৭০ ভাগ। এভাবে সকল আম গাছেই ফলন খু্ব কম। আমার ১৪ লাখ টাকার আম গাছ কেনা রয়েছে। ধারণা মতে এ বছর ৮ লাখ টাকা লোকসান যাবে।

 

তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার থেকে গোবিন্দভোগ আম ভাঙা শুরু করেছি। প্রথমদিনে ৮ মন আম সাতক্ষীরার বড় বাজারে আমের আড়তে বিক্রি করেছি। প্রতিমন কাঁচা আম বিক্রি হয়েছে ২৬০০ টাকা, প্রতি কেজি পড়েছে ৬৫ টাকায়। প্রথমদিনে বাজারে আম কম ছিল। তবে সামনের দিনে আরও বাড়বে। ধারণা করছি দামও বাড়বে।

 

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত বছর ৪ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। আবাদ বাড়লেও এ বছর ৫০ ভাগ গাছেই আসেনি আমের মুকুল। জেলায় ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার আমচাষি রয়েছে।

 

সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, চলতি বছর জেলায় আমের ফলন খুব কম হয়েছে। ৫০ ভাগ গাছে মুকুল আসেনি। আমগাছে যখন মুকুল আসবে, ঠিক তার আগ মুহূর্তে বৃষ্টি হওয়ায় মুকুল আসেনি। গাছে কচি সবুজ পাতা চলে আসে। বৃষ্টির কারণে এ বছর আমচাষিদের লোকসান হতে পারে।

 

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সরকারি কর্মকর্তা ও আম ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় জেলায় আম ভাঙার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। সেখানে ৫ মে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বায়, ক্ষীরশাপাতি, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ অন্যান্য স্থানীয় জাতের আম, ১৬ মে হিমসাগর, ২৪ মে ল্যাংড়া ও পহেলা জুন আম্রপালি আম সংগ্রহের নির্দেশনা দেয়া হয়।