ঢাকা, ১৮ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৫ || ৫ বৈশাখ ১৪৩২
good-food
৩১৯

সাধারণ সর্দি-জ্বরের সঙ্গে করোনার মিল-অমিল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৪ ১৯ জুন ২০২১  

ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মাথা যন্ত্রণা- এসব উপসর্গ দেখা দিলে খুব বেশি হলে ভাইরাল ফ্লুর কথাই ভাবা হতো কিছু দিন আগে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থাবা বসাল কি না, এরকম চিন্তাই মনে আসছে।


এই দুই ধরনের জ্বরের উপসর্গে এতটাই মিল যে, চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন রোগ নির্ণয়ে। তাই অনেক সময় দেরি হচ্ছে অসুখ ধরা পড়তে। রোগ নির্ণয়ের সুবিধার জন্যই জেনে রাখা ভালো, এই দুই জ্বরের ধরন কেমন। মিল কোথায়, অমিলই বা কী?


সাধারণ ফ্লু ও করোনার মধ্যে মিল
• দুই ধরনের ফ্লু-ই ভাইরাসবাহিত।
• দুই রোগই সংক্রমণজনিত।
• মানব শরীর থেকেই ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
• সময় মতো সচেতন না হলে দুই ধরনের ফ্লু নিউমোনিয়ার দিকে বাঁক নিতে পারে।


সাধারণ ফ্লু ও করোনার মধ্যে অমিল
• সাধারণ ফ্লু ও করোনা ভাইরাসজনিত অসুখ হলেও দুই অসুখের ভাইরাস সমগোত্রীয় নয়। সাধারণ ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপে হয়। আর কোভিড-১৯ হয় করোনা গ্রুপের ভাইরাসের কারণে। যা কিনা সার্স ভাইরাসের কাছাকাছি গোত্রের।


• করোনা ভাইরাস ছড়ায় অনেক দ্রুত। সেই তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়ায় অনেক ধীরে।
• সাধারণ ফ্লুর বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২-৩ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়। আর করোনার বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৭-১৪ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়।


• সাধারণ ফ্লুর বেলায় জ্বর ১০৩-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে, তবে ওষুধ খেলে নামতেও শুরু করে। করোনার বেলায় জ্বর প্রবল হবে এবং নামতে চায় না সহজে। ওষুধও কাজ করে না।


• সাধারণ ফ্লু বোঝার জন্য পরীক্ষার দরকার পড়ে না। কিন্তু করোনা আক্রান্ত কি না জানতে গেলে পলিমারেস চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর পরীক্ষা করার দরকার হয়।


• সাধারণ ফ্লুর জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাক্সিন রয়েছে। কিন্তু করোনা রোধে তেমন কোন ভ্যাকসিনের সন্ধান এখনও পাননি গবেষকরা।
 

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর