ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর রোববার, ২০২৪ || ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
good-food
৭৯

সিটিজেন টিভিকাণ্ড তদন্তে দুদকে আবেদন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:১৮ ২৪ জুন ২০২৪  

সিটিজেন টিভি কাণ্ডে এমপি শফিকুর রহমান, নাফিজ শারাফাতসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে তদন্তে পরিচালনা করার আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন। রোববার (২৩ জুন) দুদক চেয়ারম্যান বারবার এ আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়, শফিকুর রহমান একজন আইনপ্রনেতা ও সাংবাদিক নেতা হওয়া সত্ত্বেও উক্ত বিষয়ে কোনো ধরণের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করা সন্দেহজনক। এ ব্যাপারে তার দুর্নীতি তথা মানি লন্ডারিং থাকতে পারে।

 

এ কারণে সাবেক পুলিশ মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে উল্লেখিত পত্রিকা প্রতিবেদন-এর বিষয়বস্তু সমূহ আমলে নিয়ে শফিকুর রহমান, নাফিজ শারাফাত, রাজ্জাকুল হোসেন টুটুল ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের একই সাথে তদন্ত করা বা স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয় এই আবেদনে। 

 

আবেদনে আরও বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক তদন্ত চলমান রয়েছে। রিট আবেদন রীট পিটিশন ৪৪২৫/২০২৪-এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট-এর হাইকোর্ট ডিভিশন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-কে দুই মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করেছেন।

 

গত ৩১ মে একটি পত্রিকায় 'বাসা থেকে তুলে শেয়ার কেড়ে নিলেন বেনজীর, অভিযোগ এমপি শফিকুরের’, একই দিন আরও একটি অনলাইনে ‘গভীর রাতে তুলে নিয়ে সিটিজেন টিভির শেয়ার কেড়ে নেন বেনজীর’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

 

উক্ত প্রতিবেদন সমূহের মাধ্যমে আমরা অবগত হয়েছি, সিটিজেন টিভির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাকে গভীর রাতে তার বাসা থেকে একজন (নাফিজ শারাফাত) বেনজিরের কাছে নিয়ে যান, এরপর (সিটিজেন টিভি-এর) শেয়ার লিখে নেয়া হয়। ৪-৫ বছর আগে সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানকে কোনো এক রাতে ১২:৩০-০১:০০ মধ্যে কোন এক সময় তার বাসা থেকে তুলে হোটেল ওয়েস্টিনের নিচ তলায় বেনজীর আহমেদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে রুট গ্রুপের মালিক রাজ্জাকুল হোসেন টুটুল, নাফিজ শারাফাত সহ আর দুইজন উপস্থিত ছিলেন। 

 

এক পর্যায়ে বিভিন্ন ভাবে ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণার মাধ্যমে শফিকুর রহমানের স্বাক্ষর গ্রহণ করে তার মালিকানাধিন সিটিজেন টিভির শেয়ার হস্তান্তর করে নেয়া হয়।  পরবর্তীতে শফিকুর রহমান জানতে পারেন তার নামে সিটিজেন টিভি-এর ৩০% শেয়ার রয়েছে এবং বেনজীরের দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে যথাক্রমে ১৫% করে মোট ৩০% শেয়ার, আরেকজনের নামে (অজ্ঞাত) ২৫% শেয়ার এবং টুটুল-এর নামে রয়েছে ১৫% শেয়ার। শফিকুর রহমান এর ভাষ্যমতে ৪-৫ বছর পার হলেও তিনি এই বিষয়ে কিছু করতে পারেননি।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর