ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩২০

সিলেটে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সেবা চালু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:২৫ ১৭ মার্চ ২০২০  

সিলেট মহানগরীতে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সেবা চালু হয়েছে। ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্প’ এর আওতায় নগরীর ৬২টি এলাকায় ১২৬টি এক্সেস পয়েন্টের (এপি) মাধ্যমে এ সেবা চালু করা হয়।
প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মধুসূদন চন্দ জানান, এসএসআইডি পদ্ধতিতে ব্যবহারকারী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এবং পাসওয়ার্ড ‘জয় বাংলা’ লিখে বিনামূল্যে যে কেউ এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। গত দু’মাস ধরে ওসিসি পদ্ধতিতে সিলেটে পরীক্ষামূলকভাবে এ ওয়াইফাই চালু হয়। এখানে প্রতি সেকেন্ডে এক্সেস পয়েন্টের চতুর্দিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে ১০ মেগাবাইট।
২০১৭ সালে পাইলট প্রকল্প হিসেবে দেশের প্রথম ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ এর উদ্যোগ আরো কয়েকধাপ এগিয়ে নিতেই এ উদ্যোগ। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুনে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের নির্দেশে গত ১০ মার্চ থেকে এসএসআইডি পদ্ধতিতে এ সেবা চালু করা হয়। নগরবাসীসহ সব পর্যটকরাও বিনামূল্যে এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
মধুসূদন চন্দ বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রতিমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করেন। ৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় ধরে সিলেট নগরীর ডিজিটাইজেশন কাজটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ। 
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. জেদান আল মুসা বলেন, নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত আইপি ক্যামেরাগুলো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর সুফল ইতোমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অপরাধীদের দ্রুত ধরার ক্ষেত্রে পুলিশ এসব ক্যামেরার ব্যবহার করতে পারছে।
গত বছরের মাঝামাঝিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ডিজিটালের পথে আরেকধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। ‘আইপি ক্যামেরা বেইসড সার্ভিলেন্স সিস্টেম’ এর অধীনে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নজরদারির জন্য নতুন করে ১১০টি আইপি ক্যামেরা (ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরা) স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ ধরনের ১০টি ফেস রিকোগনিশন (এফআর) বা ব্যক্তি সনাক্তকরণ এবং ১০টি অটো নাম্বার প্লেট রিকোগনিশন (এএনপিআর) তথা যানবাহনের নাম্বার প্লেট চিহ্নিতকরণ ক্যামেরা রয়েছে। যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি দেখাশোনা করছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।
ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের অধীনে নগরীর ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৩৬০ ডিগ্রি জুমিং সুবিধাসম্পন্ন আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তা।