ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২০২৩

যত জাদুকরী গুণ

সুস্থ-সবল থাকতে চান, নিয়মিত ছাতু খান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৪৬ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ছাতু। মজাদার-উপাদেয় এক খাবার। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ছাতু খেলে শরীরের নানাবিধ উপকার তো হয়ই, সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকার কারণে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। 

গবেষণা বলছে, নিয়মিত ছাতু খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে, তার প্রভাবে রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানগুলো বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এই দুটি উপদান ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একদিকে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। অন্যদিকে, প্রোটিন শরীরের ভিতরে যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করে। ফলে সার্বিকভাবে শরীর, ত্বক এবং চুলের জেল্লা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, এই সবকটি উপাদানই ছাতুতে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে। 

ছাতু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমেষে উপকারি উপাদানগুলো রক্তে মিশে যায়। ফলে সঙ্গে সঙ্গে এনার্জির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ হওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীর এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে। সেই কারণেই তো চিকিৎসকরা নিয়মিত প্রাতঃরাশে ছাতুর শরবত খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বয়স যত বাড়তে থাকে, তত নানাবিধ শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এক্ষেত্রেও ছাতু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৬০ বছরের পর থেকে যদি নিয়মিত ছাতু খাওয়া যায়, তাহলে একাধিক বয়সকালীন রোগ শরীরে বাসা বাধার কোনও সুযোগই পায় না। ফলে শেষ বয়সটা নিশ্চিন্তেই কেটে যায়।

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ছাতুর নিয়মিত খেলে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। এখানেই শেষ নয়। আরও নানা উপকারে লাগে ফাইবার। যেমন, প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে যে পরিমাণ তেল আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তা স্টমাক থেকে বের করে দিতে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শরীরের যথাযথ বৃদ্ধির জন্য যে যে উপাদানগুলোর দরকার পড়ে তা সবই উপস্থিত রয়েছে ছাতুতে। তাই তো বাজার চলতি ড্রিঙ্কের পরিবর্তে নিয়মিত যদি শিশুদের ছাতু খাওয়ানো যায়, তাহলে দারুন উপকারে লাগে।

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে ছাতুতে উপস্থিত শর্করা খুব ধীরে ধীরে রক্তে মিশে থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার খেলে হঠাৎ করে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। সেই কারণেই তো ডায়াবেটিক রোগীরও ইচ্ছা হলে ছাতু খেতে পারেন। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ছাতুর সরবত খেলে রক্তচাপ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই যারা হাই ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন, তারা এই খাবারটি নিয়মিত খেলে উপকার পেতে পারেন।

মেয়েদের পিরিয়ডের সময় শরীরে দেখা দেওয়া পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে ছাতুর শরবতের কোনও বিকল্প হয় না। ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ এবং ভিটামিন থাকে, যা শরীরের সচলতা বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।