ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ৩ মাঘ ১৪৩১
good-food
৩১০

সেই কলেজ শিক্ষিকার দাফন সম্পন্ন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৫১ ১৫ আগস্ট ২০২২  

সেই কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের (৪০) ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার স্থানীয় আবু বকর সিদ্দিকী কওমী মাদরাসার জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। রোববার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে জানাযা শেষে খামার নাচকুড় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। 

 

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে দুপুরে সিআইডির সুরতহালের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে জানাযা শেষে দাফন করা হয়।

 

সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় চারতলার এক ভাড়া বাসাতে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সিআইডির সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়।

 

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক (আরএমও) সামিউল ইসলাম শান্ত জানান, শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মরদেহের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ভিসেরা রিপোর্ট আসলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়।

 

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। 

 

২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর