সেই ১৩৪ কোটি টাকা কার, মুখ খুললেন মুন্নী সাহা
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ০৪:০৬ ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে জমা হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিনি বিভিন্ন সময় ১২০ কোটি টাকা তুলেছেন। এখন স্থগিত করা তার ব্যাংক হিসাবে স্থিতি আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন তাপস এবং তাদের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশনের ব্যাংক হিসাবে এসব অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। কোথা থেকে এলো এত টাকা?
বুধবার গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সবখানেই টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে বিষয়টি। চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা। জানালেন এই টাকা কার, তার সঙ্গেই বা এই টাকার সম্পর্ক কি। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই বিষয়ে বিশাল একটি স্ট্যাটাস দেন এই সাংবাদিক।
মুন্নী সাহা তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আজ দেশের অনেকগুলো নিউজ পোর্টাল এবং দৈনিকে আমার একাউন্টে কত টাকা তা নিয়ে কিছু মিসলিডিং হেডলাইন দেখে বিস্মিত হয়েছি।
অনেকেই আমার একাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা- এমন ফটোকার্ড বানিয়ে ক্লিক নিচ্ছেন। 'মুন্নী সাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাউন্ট' বলে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যাতে জনমনে ধারনা হচ্ছে এই একাউন্টগুলো আমার। কোন একাউন্টের নমিনি হলে সেটি 'স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাউন্ট' বলে এক ধরনের ধোয়াশা তৈরি করা যায়, কিন্তু সেই একাউন্টগুলো যে আমার নয়, সেটি কৌশলে এড়িয়েও যাওয়া যায়।
প্রথমত, কবির হোসেন তাপস দেশের একজন পুরোনো ব্যবসায়ী। বিগত সুদীর্ঘ ২২ বছর ধরে তিনি বিজ্ঞাপন ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সহ বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত। ওয়ান ব্যাংকের যে একাউন্টটির কথা বলা হয়েছে, আমি সেই একাউন্টের একজন নমিনি মাত্র; একাউন্টের লেনদেনের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কবির হোসেন তাপসের কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আমি অংশীদার নই, কোন একাউন্টের গ্যারান্টারও নই। একাউন্ট ওপেন করার সময় পরিবারের কাউকে নমিনি হিসেবে দিতে হয় বলে এই একাউন্টে আমার নাম দেয়া আছে মাত্র।
আলোচিত একাউন্টটি ২০১৭ তে খোলা হয়েছে এবং বিগত ৭ বছরে এই একাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা 'লেনদেন' হয়েছে। ‘লেনদেন’ এর মানে আমার বন্ধুরা নিশ্চয়ই বুঝেন, এর মানে হচ্ছে প্রতিটি কার্যাদেশের বিপরীতে সব টাকা এখানে জমা হয় এবং সেই টাকা থেকে বিভিন্ন সাপ্লায়ার, ভেন্ডর, সরকারি কর ও ভ্যাট, কর্মচারিদের বেতন ও অন্যান্য অপারেটিং খরচ পরিশোধ করা হয়। এই হিসাবে ৭ বছরে এই একাউন্টে মোট ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গড়ে মাসে ৬৫ লাখ টাকার মতো।
একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে মাসে ৬৫ লাখ টাকার ব্যবসা করা অস্বাভাবিক নয়, এবং সেই টাকার বড় অংশই টাকা বিভিন্ন সাপ্লায়ার, ভেন্ডর, অফিস খরচ, কর্মচারিদের বেতন-ভাতা, ভ্যাট ও কর হিসেবে খরচ হয়, যাকে এখানে ‘লেনদেন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু খবরে এমনভাবে বিষয়টি প্রচার করা হচ্ছে যাতে মনে হয় ১৩৪ কোটি টাকা একই সাথে এখানে জমা ছিল, যা সত্যের অপলাপ।
কোনো কোনো রিপোর্টে কৌশলে লিখেছে যে, ৫ আগস্টের আগে ১২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। সেটাও যে লেনদেন, মানে ২২ বছরের বেতন বিল, ভাড়া, খরচ সবকিছু বাবদ; ২২ বছরের প্রতি মাসে মাসে হিসেবে তোলা সেটা এড়িয়ে, শুধুমাত্র ভুল বার্তা দেয়ার জন্য করা হয়েছে; সেটা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেছি।
উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আমি যতদূর জানি, কবির হোসেন তাপসের প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ব্যাংক ঋণগুলো নিয়মিত আছে। আলোচ্য ব্যাংকটি একটি প্রাইভেট ব্যাংক যারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে বিভিন্ন সময়ে এই ব্যাংক ঋনগুলোর মেয়াদ ও কিস্তি সমন্বয় করে থাকে, যেটি খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কবির হোসেন তাপসের কোন খেলাপি ঋণ নেই এবং বর্তমান ঋণগুলোও খেলাপি হওয়ার আশু কোন সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইন্টিলেজেন্স ইউনিট যে কারোরই হিসাব চাইতে পারেন। সেই তালিকায় সাংবাদিক হিসেবে অনেকের সাথে আমার নাম ছিলো। এবং কর্তৃপক্ষ দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে অনুসন্ধান করেছে বলে আমার বিশ্বাস। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে মনে করি, বাংলাদেশের যে কোনো ব্যবসায়ীর দীর্ঘ ২২ বছরের ব্যবসায়, মোট লেনদেন ১৩৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয় ১৪ কোটি টাকা, কোনো গুরুত্ব বহন করে না।
দুর্ভাগ্য হচ্ছে, শুধু আমার নামটি নমিনিতে ব্যবহার করায় একজন ব্যবসায়ী সামাজিক হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছেন, এখনও তার লেনদেন ব্যাহত হচ্ছে। আমি ঘটনাটিকে বা আমাকে নিয়ে যা যা ঘটছে, তা blessings in disguised হিসেবে গ্রহণ করছি।
যদিও আমাকে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে ট্যাগ দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে, গত ১৪/১৫ বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তার পুরোটাই যে ভুল, তা অন্ততঃ এ ধরনের ইনভেস্টিগেশনে প্রমাণিত হলো।বিগত ফ্যদিবাদী সরকারের দোসর হিসেবে ট্যাগ দিলেও গত ১০ বছর আমি এবং আমার মত আরো দুয়েকজন সেলিব্রিটি সাংবাদিক সরকারি অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স কাভার করার তালিকায় নিষিদ্ধ ছিলাম। ‘এক টাকার খবর’ নামের অনলাইনের অনুমতিপত্রও সাবেক তথ্যমন্ত্রী দেন নাই।
সাংবাদিক হিসেবে কোনো সরকারি পদপদবী সুযোগও আমাকে নিতে হয়নি বলে আমি গর্বিত। প্রধানমন্ত্রীর ইন্টারভিউ বা সালমান এফ রহমানের মুখের ওপর কড়া প্রশ্ন করায় নানান সময় আমাকে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, সেটা আমি সাংবাদিকতার শক্তিই মনে করি।
সাহা পরিবারে জন্ম বলে আমাকে ভারতের দালাল বলতে মুখিয়ে থাকা মানুষগুলো অন্ততঃ এই সরকারের স্বচ্ছ অনুসন্ধান থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কতোটা অন্ধত্ব নিয়ে আমার ওপর অবিচার করা হয়েছে! যেটা গত ১৫/১৬ বছর ধরেই আমাকে সহ্য করতে হয়েছে।
বিগত সরকারের সময় আমি বারবার এসব মিথ্যাচারের ব্যাপারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যারাসমেন্টের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেও ফল পাইনি। বরং এই সরকারের স্বচ্ছতার প্রক্রিয়ায় বিষয়গুলো তদন্ত হওয়াতে আমি ব্যক্তিগত ভাবে স্বস্তি বোধ করছি, কিন্তু আমার সহকর্মীদের কেউ কেউ যেভাবে তথ্যগুলোকে টুইস্ট করে ফায়দা নিতে চাচ্ছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক।
রিপোর্টে, আমার সাথে জড়িয়ে কবীর হোসেন তাপসের একাউন্টে ১৪ কোটি টাকার স্থিতির খবর যারা দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। যারা ভুল ফটোকার্ড করে, ‘মুন্নী সাহার এ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা’ লিখলেন, তাদের প্রতি দোয়া রইলো। যেন তারা বিভ্রান্তিমূলক হেডলাইন সাংবাদিকতা থেকে নিয়মের সাংবাদিকতা সম্মানের সাথে চর্চা করতে পারেন।’
- রোজ পাতে রাখুন এসব খাবার, রুখে দেন ক্যানসারের ঝুঁকি
- স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে ৭ প্রস্তাব পেশ জাতীয় নাগরিক কমিটির
- ছাত্রসমাজের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা: ছাত্রলীগ
- ঢাকা-করাচি রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন পেলো ফ্লাই জিন্নাহ
- আমেরিকা থেকে অবৈধ ভারতীয়দের প্রত্যাবাসন শুরু
- এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী হলেন আব্দুর রশীদ মিয়া
- সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ ৮ ফেব্রুয়ারি
- হালনাগাদ তালিকায় নতুন ভোটার ৫০ লাখ, মৃত ১৫ লাখ বাদ
- ট্রাম্পের আদেশের বড় ধাক্কা বাংলাদেশে, ঝুঁকিতে লাখো মানুষ
- শীতে ত্বকের অবস্থা বেহাল? রইলো মা-দাদিদের বিশেষ টিপস
- বোমা ফাটিয়ে টেন্ডার বাক্স লুট
- সিরামিক শিল্প রক্ষায় জ্বালানি গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি
- ভারতীয় গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে ২৭১ ভুয়া তথ্য
- সালমান, আনিসুল, মানিকসহ ৭ জন রিমান্ডে
- শ্বেতী রোগ কি ছোঁয়াচে ও নিরাময়যোগ্য?
- লাল গালিচায় খাল খনন উদ্বোধন তিন উপদেষ্টার
- ইজতেমা ময়দানে আছড়ে পড়লো ড্রোন, আহত ৪১
- সিরামিক ম্যাগাজিনের ৫ বছর
`শেপিং বাংলাদেশ: ডিজাইনিং টুমরো, বিল্ডিং টুডে` - রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ
- বই ছাপার আগে সেন্সরশিপ করার প্রশ্নই আসে না: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
- মুখের ভেতরে ঘা, কিছুই খেতে পারছেন না? সেরে তুলুন ঘরোয়া উপায়ে
- অনুষ্ঠানে যেতে কেন বারবার বাধার মুখে পড়ছেন অভিনেত্রীরা?
- ইজতেমা ময়দানে আরো একজনের মৃত্যু
- টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে কী হচ্ছে?
- বিয়ে করলেন সারজিস আলম
- `তৌহিদী জনতা` নামে হামলা কারা করছে?
- অরাজনৈতিক তাবলীগে রাজনীতির রং লাগলো কীভাবে?
- ৭ কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হতে পারে‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
- `তৌহিদী জনতার` বাধায় স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালুর নির্দেশ
- নারী সাংবাদিক প্রবেশে বাধা, তৃতীয় পক্ষকে সন্দেহ ধর্ম উপদেষ্টার
- সিরামিক শিল্প রক্ষায় জ্বালানি গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি
- সিরামিক ম্যাগাজিনের ৫ বছর
`শেপিং বাংলাদেশ: ডিজাইনিং টুমরো, বিল্ডিং টুডে` - মুখের ভেতরে ঘা, কিছুই খেতে পারছেন না? সেরে তুলুন ঘরোয়া উপায়ে
- বিপিএল মাতাতে আসছেন রাসেল-নারাইন-ওয়ার্নারসহ ৫ তারকা
- ৭ কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হতে পারে‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
- `তৌহিদী জনতা` নামে হামলা কারা করছে?
- অনুষ্ঠানে যেতে কেন বারবার বাধার মুখে পড়ছেন অভিনেত্রীরা?
- দেশের বাজারে সোনার দাম আরেক দফা বাড়ল
- শ্বেতী রোগ কি ছোঁয়াচে ও নিরাময়যোগ্য?
- শীতে ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে? রইলো ঘরোয়া টোটকা
- ট্রাম্পের আদেশের বড় ধাক্কা বাংলাদেশে, ঝুঁকিতে লাখো মানুষ
- অরাজনৈতিক তাবলীগে রাজনীতির রং লাগলো কীভাবে?
- আওয়ামী লীগের হরতাল-অবরোধ ঘিরে কঠোর হবে অন্তর্বর্তী সরকার
- সাইফ আলি খানের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পদের কী হবে?
- নারী সাংবাদিক প্রবেশে বাধা, তৃতীয় পক্ষকে সন্দেহ ধর্ম উপদেষ্টার
- এবার রেস্তোরাঁ উদ্বোধনে বাধার মুখে অপু বিশ্বাস
- রাজনৈতিক দল গঠন বা পদত্যাগের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: নাহিদ
- টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে কী হচ্ছে?
- ইজতেমা ময়দানে আরো একজনের মৃত্যু
- `তৌহিদী জনতার` বাধায় স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালুর নির্দেশ