ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৭ পৌষ ১৪৩১
good-food
১২৫

সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন যারা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৫:০৮ ৬ আগস্ট ২০২৪  

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগের পর দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এই বৈঠকে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি টানা চারটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা করে ভোটে যাওয়া জাতীয় পার্টির নেতারাও ছিলেন।

 

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেয়ার দ্বিতীয় দিন সকালেই শেখ হাসিনা সরকারের পতনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। বেলা ১২টার দিকে গণমাধ্যমে ব্রেকিং আসে, বেলা ২টার দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান। ততক্ষণ যেন জনগণ ধৈর্য ধরে।

 

সে সময়ই বোঝা যায় আন্দোলন যে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে। তবে সেনাপ্রধান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পর বেলা পৌনে ৪টায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসেন। জানান, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। দেশ পরিচালনায় একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হবে। এই বৈঠকে কারা ছিলেন, এই প্রশ্নে সেনাপ্রধান বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

তবে এই দলের পক্ষ থেকে কারা ছিলেন সেটি জানাননি ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল খেলাফতে মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকীর নাম উল্লেখ করেন।

 

এক প্রশ্নে সেনাপ্রধান বলেন, “না, এই বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেউ ছিলেন না।” বৈঠকে উপস্থিত বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুও অংশ নেন।

 

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে থাকা ইসলামী আন্দোলনের নেতা মুফতি ফয়জুল করীমও এই বৈঠকে অংশ নেন। এই বৈঠকের জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এই দলটি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে এবং ২০১৪ ও ২০২৪ সালে সমঝোতা করে ভোটে যায়।

 

গত তিন মেয়াদে জাতীয় পার্টি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল। বিকাল আড়াইটায় সেনা সদর দপ্তরে এই বৈঠকে অংশ নিতে এসব নেতাদেরকে আমন্ত্রণ জানান সেনা প্রধান।