ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১১৮৯

নারী-শিশুসহ ৬ জন হাসপাতালে

হঠাৎ হামলে পড়লো মৌমাছির ঝাঁক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪৫ ৪ এপ্রিল ২০১৯  

হঠাৎ হামলে পড়লো মৌমাছির ঝাঁক। আক্রান্ত হলো নারী-শিশু। এর মধ্যে কয়েকজন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে এখন হাসপাতালে।

 ঘটনাটি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের। পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের টাঙ্গন সেতু এলাকায়। পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়কে মৌমাছি দল তাঁদের কামড়ায়। মৌমাছির কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নারী-শিশুসহ ছয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে।  

মৌমাছির কামড়ে অসুস্থ ব্যক্তিরা জানান, দুপুরে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় পঞ্চগড় শহর থেকে আটোয়ারী যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি টাঙ্গন সেতু এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ একঝাঁক মৌমাছি তাঁদের কামড়াতে থাকে। এ সময় অটোরিকশার চালকের চিৎকার ও ছোটাছুটিতে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন জ্বালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল গিয়ে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান।

মৌমাছির আক্রমণে অসুস্থ অটোরিকশা চালক দবিরুল বলেন, আমি অটোরিকশা নিয়ে ফুটকিবাড়ি এলাকার দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ একঝাঁক মৌমাছি আমাকে জড়িয়ে কামড়াতে শুরু করে। আমার পেছনে থাকা অটোরিকশায় আরও কয়েকজন ছিলেন। তাঁদেরও কামড়াতে শুরু করে। এ সময় আমরা কোথাও লুকানোর জায়গা পাচ্ছিলাম না। পরে আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আগুন ধরিয়ে ধোঁয়া দিতে থাকে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।

 

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নিরঞ্জন সরকার বলেন, মৌমাছির আক্রমণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করেছে। পরে আমরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে আসি।

 

মৌমাছির কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিরা হলেন : পঞ্চগড় সদর উপজেলার দরদরিয়া পাড়া এলাকার সৌরভ (২৮), ধাক্কামারার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মেহেরুন (৩৫), তাঁর ছেলে আলিফ (৩), ঝলই এলাকার দসিরের ছেলে দবিরুল ইসলাম (৩০), আটোয়ারী উপজেলার ছোটদাপ এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে লাজু (১৮) ও হোসেন আলীর ছেলে রকি (২০)। তাঁরা সবাই পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মনোয়ার হোসেন বলেন, বেলা সোয়া একটার দিকে মৌমাছি কামড়ানো ছয়জন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। চিকিৎসাধীনদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

 

 

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর