ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪০৮

হবু মায়ের প্রথম ৩ মাসে করণীয়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:২৪ ৭ জুলাই ২০২৩  

গর্ভকালীন প্রথম তিন মাসে হবু মায়েদের ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই হবু মা ও ভ্রুণের সুরক্ষা নিশ্চিতে এ সময় নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

ইউনিসেফে প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদনে গাইনোকোলজিস্টরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম ৩ মাস অর্থাৎ ১২ সপ্তাহে হবু মায়ের শারীরিক পরিবর্তন হতে শুরু করে। এ সময় তাদের মধ্যে বমি ও ক্লান্তিভাবের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।

 

প্রথম ৩ মাসে এসব সমস্যার সঙ্গে আরও নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়ার শঙ্কা থাকে হবু মায়েদের। তাই এ সময় হবু মায়েদের বাড়তি যত্ন হিসেবে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন পরিবারের সদস্যরা।

 

যেমন বমিভাবে আরাম পেতে আদা পানি খেতে দিতে পারেন। পায়ে অবশ ভাবের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হবু মায়ের ডায়েটে বাড়িয়ে দিতে পারেন ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।

 

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারে বেশি প্রাধান্য দিতে পারেন। এই সময় হবু মায়েদের পেটে গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে হবু মায়েরা চাইলেই কোনো গ্যাসের ওষুধ খেতে পারেন না। কারণ ওষুধের কারণে ভ্রুণের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই এ সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন নিয়মিত সকালে খালি পেটে ইসবগুল ভিজানো পানিতে ভরসা রাখতে পারেন।

 

ভ্রুণের সঠিক বিকাশে এ সময় হবু মায়ের ডায়েটে অবশ্যই রাখতে হবে শাকসবজি, মাংস, শিম, বাদাম, দুধ, ডিম এবং ফলমূল। এসব স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে হবু মায়ের পর্যাপ্ত শক্তি, আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজের চাহিদা পূরণ নিশ্চিত সম্ভব হবে। প্রথম তিন সপ্তাহেই ভ্রুণের আকার গঠন হতে শুরু করে। তাই হবু মাকে স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার দেয়া বেশ জরুরি।
 

এসব পদক্ষেপ নেয়ার পরও যদি হবু মায়ের মধ্যে বিশেষ কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে তবে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

বিশেষ সেই লক্ষণগুলো হলো হাত পা প্রায়ই অবশ হয়ে যাওয়া, ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে জ্বর আসা, দিনের বেশির ভাগ সময় বমিভাব থাকা, প্রস্রাবে যন্ত্রণা হওয়া, যোনিপথে রক্ত বের হওয়া এবং দুর্গন্ধযুক্ত যোনি স্রাব হওয়া ইত্যাদি।
 

যদি হবু মায়ের এসব বিশেষ লক্ষণ প্রথম ৩ মাসেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি দ্রুত সমস্যার সমাধান পেতে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।